স্টাফ রিপোর্টার : সংসদ কার্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের জলসীমার নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে বর্তমান সরকারের প্রথম বছরেই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।

রবিবার সংসদে সরকারি দলের সদস্য বেগম পিনু খানের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সমুদ্র এলাকায় বহিঃশত্রুর মোকাবেলা ছাড়াও জলদস্যুতা, মাদক, অস্ত্র, মানব চোরাচালান প্রতিরোধ, সামুদ্রিক দুষণরোধ এবং মৎস্য ও খনিজ সম্পদের সুরক্ষা ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকল্পে একটি শক্তিশালী নৌশক্তি গড়ে তোলার কার্যক্রম ইতোমধ্যে প্রহণ করা হয়েছে।

সৈয়দ আশরাফ বলেন, পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে ভবিষ্যতে পর্যায়ক্রমে ত্রিমাত্রিক যুদ্ধ ক্ষমতাসম্পন্ন হেলিকপ্টারবাহী মিসাইল, ফ্রিগেট, দ্বিমাত্রিক যুদ্ধ ক্ষমতা সম্পন্ন করভেট, ক্ষেপণাস্ত্রবাহী লার্জ প্যাট্রোল ক্রাফট, অল্প গভীরতায় চলাচলযোগ্য দ্রুতগামী প্যাট্রোল ক্রাফট, যুদ্ধকালীন মাইন ওয়ারফেয়ারের জন্য মাইন কাউন্টার মেজার ভেসেল যুক্ত করার পরিল্পনা রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ছাড়াও অন্যান্য সাহায্যকারী ভেসেল, যথা- ল্যান্ডিং ক্রাফট, সাপোর্ট শিপ, টাগ, সার্ভে ও রিসার্চ ভেসেল ইত্যাদি সংযোগ করা হবে। পাশাপাশি নৌবাহিনীর সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আধুনিক গান, মিসাইল, টরপেডো, মাইনস, এসএএম ব্যাটারী ইত্যাদি ছাড়াও সার্বভৌম সমুদ্র এলাকা (টেরিটরিয়াল ওয়াটারস) ও একান্ত অর্থনৈতিক এলাকায় (ইইজেড) সার্বক্ষণিক উপস্থিতি ও টহলসহ যুদ্ধকালীন ব্যবহারের জন্য আরো মেরিটাইম প্যাট্রোল এয়ারক্রাফট এবং মেরিটাইম হেলিকপ্টার অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গোপসাগরে ‘ডেটারেন্স’ বৃদ্ধির জন্য নৌবাহিনীতে সাবমেরিন সংযোজনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

(ওএস/এটিআর/জুন ২২, ২০১৪)