নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালীতে লোডশেডিং চরম আকার ধারণ করেছে। জ্যৈষ্ঠের তাপদাহ বিদ্যুৎ সরবরাহ নাজুক পরিস্থিতিতে কার্যত অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে এলাকাবাসী। রাবিবার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টার মধ্যে পল্লীবিদ্যুতের গ্রাহকরা ৩ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাননি।

এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় জেলার ছোট বড় ২ শতাধিক শিল্প কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে এবং গ্রামবাসী চরমভাবে ভোগান্তিতে পড়ছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২ লক্ষাধিক গ্রাহক। তাদের অনেকে বিদ্যুৎ ব্যবহার না করেও মিনিমাম চার্জ দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

জেলার সদর, বেগমগঞ্জ, সোনাইমুড়ী চাটখিল, সেনবাগ, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও সূবর্ণচর উপজেলা রয়েছে পিডিবি ছাড়াও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক রয়েছে ২ লক্ষ ৪০ হাজার। গ্রাম গঞ্জের হাট বাজারের গ্রাহকরা সম্প্রতি দৈনিক ৪/৫ ঘণ্টার বেশী বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে পাচ্ছেন না। এতে স্কুল কলেজ মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া এবং ব্যবসা বাণিজ্যে বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়া টানা লোড শেডিংয়ে শিল্প প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে চরমভাবে। এতে মালিকরা ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন বলে তারা জানিয়েছেন।

এদিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ দীর্ঘ সময়ে বন্ধ রাখতে হলে আগে গ্রাহকদেরকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে অবহিত করার নিয়ম থাকলে তা মানছে না পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি। তারা নিজের খেয়াল খুশি মত ১০/১২ ঘণ্টা পর্যন্ত লাইন বন্ধ রাখছে। এতে অনেক সময় ফ্রিজে রাখা দ্রব্য সামগ্রীও নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি গাছ কাটা লাইন সংস্কার মেরামতসহ বিভিন্ন অজুহাতে মাসে প্রায় ৮/১০ দিন বিনা নোটিশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখছে। এ ছাড়া সামান্য বৃষ্টি শুরু হলে সবকটি লাইন বন্ধ করে দেয়া হয়। বৃষ্টি যদি ২/৩ ঘণ্টা থাকে লাইনও বন্ধ করে রাখা হয়।

সাধারণ গ্রাহকদের অভিযোগ, ঝড় হলে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এজন্য এসময়ে বিদ্যুৎ না থাকলে মানা যায়। কিন্তু সামান্য বৃষ্টি দেখা দিলে লাইন বন্ধ করে রাখায় গ্রাহকদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

(এমআইইউএস/এএস/মে ২২, ২০১৭)