ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : উত্তরাঞ্চলে পরিবহন ধর্মঘটে সড়কযান বন্ধ থাকার কারণে পাইকার ও মহাজনেরা স্থানীয় কৃষকের নিকট হতে সবজি ক্রয় না করার প্রতিবাদে ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নের আমতলায় বৃহত্তম সবজি আড়তের সামনে ঈশ্বরদী-ঢাকা মহাসড়কে কৃষি পণ্য ফেলে ৩০ মিনিট রাস্তা অবরোধ করে। সোমবার দুপুরে কৃষকদের এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটি কেন্দ্রিয় কমিটির কৃষকেরা। কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের কৃষি উপকরণ নিয়ে এই মানববন্ধনে অংশ নেয়। মহাসড়ক বন্ধ করে বিক্ষোভ করায় সড়কের দুই প্রান্তে শত শত যানবাহন আটকে যানযটের সৃষ্টি হয়। মানববন্ধন শেষে কৃষকেরা এক পথসভায় মিলিত হয়।

বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটি কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান কূল ময়েজের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাতীয় কৃষক আব্দুল জলিল লিচু কিতাব, বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত কৃষক হাবিবুর রহমান মাছ হাবিব, জাতীয় সবজি পদক প্রাপ্ত কৃষাণী বেলি বেগম, সিআইজি উপজেলা সভাপতি মুরাদ মালিথা, আমিনুর রহমান শিম বাবু, সাইদার হোসেন কপি বাবু ও ফয়সাল আহমেদ।

বক্তারা এসময় বলেন, কৃষকেরা কখনো অবরোধ, হরতাল, ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াও বিশ্বাস করেনা। রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে কৃষক মাঠে ফসল ফলিয়ে থাকে। অনেক সময় সেই ফসলের ন্যায্য মূল্য পায়না কৃষক। এছাড়া মাঝে-মধ্যে অবরোধ ও হরতালের কারণে কৃষকেরা নিঃশ্বেস। হঠাৎ করে উত্তরাঞ্চলে পরিবহন বন্ধ থাকায় পাইকার ও মহাজনেরা স্থানীয় কৃষকের কাছ নিকট হতে সবজি ক্রয় করছেন না। সবজি ক্রয় না করাতে ঢেঁড়স উত্তোলন করে আড়তে আনার পর তা ফেলে দিতে হচ্ছে। এছাড়া অনেক সময় জমির ফসল জমিতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। যে কারণে আজ কৃষকের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। এভাবে দেশ চলতে পারেনা। তাই আমাদের দাবি কৃষক বাঁচাও দেশ বাঁচাও, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে।

বক্তারা এসময় আরও বলেন, যানবাহনের মালিকেরা তাদের ইচ্ছেমাফিক গাড়ি ঘোড়া বন্ধ করে দেয়। এতে সাধারন মানুষের চাইতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষতি হয়। কৃষি পণ্য ঢাকায় যেতে না পরলে দাম দ্বিগুন হয়ে যায়। বন্ধের মধ্যে দিয়ে কৃষকেরা তাদের কৃষি পণ্য ঢাকায় পাঠানোর জন্য কোন প্রকারে ব্যবস্থা করলেও নাটোরের বড়াইগ্রামের রাজাপুরে স্থানীয় ব্যক্তিরা চাঁদাবাজি করছে এবং কৃষকদের মারধর করছে বলে সভায় অভিযোগ করা হয়। এ বিষয়ে কৃষকেরা সরকার ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরী কামনা করেছেন।

(এসকেকে/এএস/মে ২২, ২০১৭)