চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি : চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর ও নাচোলে বুধবার সকালে অভিযান চালিয়ে ৩ জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার ও অপর এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র‌্যাব। এসময় আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাব-৫ রাজশাহীর অধিনায়ক মাহবুবুল আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোমস্তাপুর উপজেলার বাজারপাড়া থেকে ভোর সাড়ে চারটার দিকে তিন জেএমবি সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ১টি পিস্তুল, ১টি ম্যগাজিন, ৪ রাউন্ড গুলি ও ৩ কেজি গান পাউডার উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতাররা হলেন, জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার বালুগ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৪৩), একই এলাকার মফিজ উদ্দীনের ছেলে আব্দুস শাকুর ওরফে শুকুদ্দী (৪৩) এবং চক পুস্তম গ্রামের টুগু মড়লের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৩২)।

মাহবুবুল আলম জানান, তাদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বুধবার সকালে জেলার নাচোল উপজেলার চাদপাড়া গ্রামের আব্দুল মজিদ ও ফুরশেদপুর গ্রামের আফজাল হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এসময় তোফাজ্জল মন্ডলের ছেলে আব্দুুল মজিদ টানুকে (৪৩) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। তবে ওই দুই বাড়ি থেকে কোনো কিছু পাওয়া যায়নি।

এরপরে গোমস্তাপুর উপজেলার চকপুস্তম গ্রামের এজাবুল হকের বাড়িতে অভিযান চালায় র‌্যাব। তবে সেখানেও কিছু পাওয়া যায়নি।

ওই অভিযান শেষে বালু গ্রামের শুকুরুদ্দীনের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় ওই বাড়ি থেকে ৩টি পিস্তুল ৯ রাউন্ড গুলি ও ২টি ম্যাগজিন উদ্ধার করে র‌্যাব। বেলা ১১টার সময় অভিযান শেষ করা হয়।

তিনি আরও জানান, আটক শুকুদ্দী ২০১২ সালে নাচোলে আলোচিত জেএমবি সদস্য সালমান হত্যার পলাতক আসামি। সে এলাকায় জেএমবির একজন প্রশিক্ষণ দাতা। তারা প্রায়ই নির্জন আম বাগানে গোপন বৈঠক করতো। আটকরা তামিম-সারোয়ার গ্রুপের সক্রিয় সদস্য।

জেলায় প্রায় ৫০ জন জেমমবি সদস্য রয়েছেন। ইতোমধ্যে তাদের কয়েকজনকে পুলিশ ও র‌্যাব গ্রেফতার করেছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতারকৃত ওই তিনজন কোনো পর‌্যায়ের জেএমবি সদস্য রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা যাবে।

এদিকে গ্রেফতারকৃত শুকুদ্দীর পিতা মফিজ উদ্দীন সাংবাদিকদের জানায়, ১৫ দিন আগে আইনশৃংখলা বাহিনী তার ছেলেকে ধরে নিয়ে যায়।

তবে এ ব্যাপারে ওই কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসা করা হলে, বিষয়টি সত্য নয় বলে তিনি জানান। আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

(ওএস/এএস/মে ২৪, ২০১৭)