জাবি প্রতিনিধি : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাওয়ের ঘটনায় আন্দোলনরত ৪২ শিক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে রবিবার সকাল ১০টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শনিবার রাতে উপাচার্যের বাসভবনে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, জাবিতে গত ২৭ মে থেকে গ্রীষ্মকালীন ছুটি শুরু হয়েছে। যা ৮ জুলাই পর্যন্ত চলবে। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় শুক্রবার সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ছাত্রের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা।

শনিবার দুপুরে নিরাপদ সড়কের দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।

তাদের দাবি, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এর আগেও বিভিন্ন দুর্ঘটনায় এ ধরনের আশ্বাস দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবায়নের অভাবে বারবার শিক্ষার্থীদের অকালে মরতে হচ্ছে।

অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দুপুরে কথা বলতে যান উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলাম। এ সময় তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দেন। কিন্তু শিক্ষার্থীরা অবরোধ না সরালে বিকেলে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।

এদিকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারকে ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়াসহ আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনরতরা। এ সময় উত্তেজিত কয়েকজন শিক্ষার্থী উপাচার্যের ভবনে ভাঙচুরও করেন।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশ কমপক্ষে ৪২ শিক্ষার্থীকে আটক করে। তবে তাদের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।

এ ঘটরায় পুরো ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিত বিরাজ করছে। আতঙ্কে রয়েছেন হলে অবস্থানরত বিক্ষুব্ধ সাধারণ শিক্ষার্থীরাও।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক তপন কুমার সাহা জানান, শিক্ষক লাঞ্ছনা, ভাঙচুর বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

(ওএস/এএস/মে ২৮, ২০১৭)