স্টাফ রিপোর্টার : সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঈদের সময় যানবাহনের সুবিধার্থে ঈদের আগে ৭ দিন এবং ঈদের পরে ৭ দিন সিএনজি স্টেশনগুলো ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। আশা করি তারা সিএনজি স্টেশন খোলা রাখবেন।

সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিআরটিএ’র কার্যালয়ে এক মত বিনিময় সভা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন। আসন্ন ঈদে ঘরমুখী মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে বিআরটিএ-র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন মন্ত্রী।

যানজট কমাতের ঈদের আগে ৩দিন মহাসড়কে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য-দ্রব্য, পচনশীল দ্রব্য গার্মেন্টস সামগ্রী, ওষুধ ও জ্বলানি বহনকারী যানবাহন ব্যতীত ট্রাক, লরি ও কাভার্ডভ্যান চলাচল বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী। এ বিষয়ে কার্যকর সহযোগিতার জন্য সংশ্লিষ্ট মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতি অনুরোধ জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী টার্মিনালে আন্ত:সংস্থা সমন্বয়ে ৩টি ভিজিলেন্স টিম গঠন করা হবে। মোটরযানে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি/ আদায় এবং ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত মালামাল/ যাত্রী পরিবহন ও যে কোনো যাত্রী ভোগান্তির বিষয়ে এই তিনটি টিম কাজ করবে।

ভিন্ন ভিন্ন দিনে গার্মেন্টস ছুটি দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এফবিসিসিআিই, বিজিএমইএ ও বিকেএমই-কে অনুরোধ জানান তিনি।

তিনি বলেন, মহাসড়কে যাত্রীদের অত্যাধিক চাপ কমাতে গার্মেন্টস কর্তৃপক্ষকে ভিন্ন ভিন্ন দিনে ছুটি ঘোষণা এবং খোলার অনুরোধ জানানো হয়েছে। কাঁচপুর, গাজীপুর-টঙ্গী, কোনাবাড়ি, চন্দ্রা ইত্যাদি এলাকায় ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ছুটি দিলে যাত্রীদের চাপ মোকাবেলা সহজ হবে এবং যানজট কমবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকা থেকে বের হওয়ার এবং প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে যানবাহন ব্যবস্থাপনায় পুলিশকে সহায়তা করতে আনসার সদস্য নিয়োগ করা হবে। গুরুত্বপূর্ণ এ পয়েন্টগুলোতে যানজট ব্যবস্থাপনায় আইপি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ২২টি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় মহাসড়কে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা এবং সকল শ্রেণির অযান্ত্রিক যানবাহন নিষিদ্ধ রয়েছে। এ সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। শহর এলাকায় শপিং মলের সামনে যানজট এবং যত্রতত্র পার্কি বন্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

তিনি জানান, যানবাহন চলাচলের সুবিধার্থে মহানগরী এবং মহাসড়কের উপর ও উভয়পাশে অস্থায়ী/ ভাসমান বাজার অপসারণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সব মহাসড়কে মটরযান চলাচল নির্বিঘ্নে করতে ঈদের ৭ দিন আগেই প্রয়োজনীয় মেরামত কাজ শেষ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সেতু, মেঘনা সেতু, গোমতি সেতুসহ সকল গুরুত্বপূর্ণ সেতু সমূহের টোল প্লাজার সকল বুথ ২৪ ঘণ্টা চালু রাখা হবে। মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।

(ওএস/এএস/মে ২৯, ২০১৭)