বান্দরবান প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের শীতাকুন্ডে ছায়ানীড়ে বোমা বিস্ফোরণ ঘটনার পর পুলিশের কাছে আটক নারীসহ ৩ জঙ্গিকে বান্দরবান অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আবু হানিফের আদালতে হাজির করা হয়েছে। নাইক্ষ্যছড়ির বাইশারীতে বৌদ্ধ ভিক্ষু হত্যা মামলায় আজ সোমবার তাদেরকে কঠোর নিরাপত্তা মধ্যদিয়ে আদালতে হাজির করা হয়।

আসামীরা হলেন- সীতাকুন্ড জঙ্গি আস্তানা থেকে গ্রেফতার হওয়া জহিরুল হক, তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম এবং কুমিল্লায় জঙ্গী আস্তানা থেকে পালানোর সময় র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া মাহমুদুল হাসান। এদের মধ্যে জহির-রাজিয়া দম্পতির বাড়ি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের যৌথখামার পাড়ায় এবং মাহমুদুল হাসানের বাইশারী ইউনিয়নের লম্বাবিল এলাকায়।

পুলিশ জানায়, গত বছরের (২০১৬) সালের ১৪ মে জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের উত্তর চাকপাড়া বৌদ্ধ বিহারের (ক্যায়াং) প্রধান ভিক্ষু মং শৈ উ চাক (৭৮) গলা কেটে হত্যা করা হয়। প্রায় দু’বছর আগে বৌদ্ধ বিহারটি প্রতিষ্ঠা পর থেকেই তিনি প্রধান ভিক্ষু হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। এ ঘটনায় ভিক্ষু’র ছেলে চিংসাউ চাক নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় সীতাকুন্ড ও কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার হওয়া বান্দরবানের বাইশারীর বাসিন্দার ৩ জঙ্গীকে গ্রেফতার দেখিয়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থায় বান্দরবান অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবু হানিফ এর আদালতে হাজির করা হয়। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেফতার জঙ্গিদের জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

ভিক্ষু হত্যা মামলার হাজিরা দেয়ার লক্ষ্য গত ২দিন আগে জঙ্গিদের কঠোর নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম কারাগার থেকে বান্দরবান কারাগারে নিয়ে আসা হয়।

এছাড়াও উক্ত মামলায় হ্লামং চাক এবং মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক জিয়া উদ্দিন ও রহিম নামে আরো তিনজন’কে ২০১৬ সালে গ্রেফতার করা হয়।

(এএফবি/এএস/মে ২৯, ২০১৭)