নোয়াখালী প্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবিলায় নোয়াখালীতে ১০২টি মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। খুলে দেওয়া হয়েছে ৩১২টি আশ্রয় কেন্দ্র। এছাড়া আরও ১০০টি স্কুল-কলেজ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুব্রত কুমার দে এ তথ্য জানিয়েছেন। সকাল থেকে ৭নং বিপদ সংকেত জানিয়ে বিভিন্ন হাট বাজারের লাল পাতাকা উত্তলন করে সতর্ক করে উপজেলা দূর্যোগ প্রস্তুতি কমিটি ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি।

সোমবার নোয়াখালী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ মোকাবিলায় জরুরি প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় জেলা প্রশাসক মাহবুবুল আলম তালুকদার জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ৬ লাখ টাকা ও ২৯৮ মেট্রিক টন চাল মজুদ রাখা হয়েছে।

এছাড়া উপকূলীয় উপজেলা সুবর্ণচর, হাতিয়া ও কোম্পানিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে সতর্ক অবস্থায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সভায় জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, পুলিশ, রেড ক্রিসেন্ট, পানি উন্নয়ন বোর্ড, ফায়ার সার্ভিস, আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা, এনজিও প্রতিনিধি, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদে সাইক্লোন শেল্টারে নিয়ে আসতে মাইকিং করে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে। এছাড়াও হাতিয়ার সঙ্গে সব ধরনের নৌ-যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সন্ধায় ১০ নং বিপদ সংকেত দেখিয়ে সতর্ক করা হয় উপকূলবাসিকে।।

(আইএইচএস/এএস/মে ২৯, ২০১৭)