প্রবীর সিকদার


ফরিদপুর জেলা কারাগারে চূড়ান্ত নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন ২৫টি সাজানো মামলার আসামী সাবেক ছাত্রলীগ নেতা এডভোকেট সত্যজিৎ মুখার্জি। গত বছর ফরিদপুর জেলা কারাগারেই খুন করবার উদ্দেশ্যেই তার উপর হামলা করেছিল দুর্বৃত্ত চক্র। গত ২১মে জামিনে মুক্তির পর গত ২৮ মে আবার তাকে আরেক মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে ফরিদপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। সত্যজিতের পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের আশঙ্কা, ফরিদপুর জেলা কারাগারে আবার তার উপর হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। বাইরে থেকেও পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের আসামী পরিচয়ের আড়ালে কারাগারে পাঠানো হতে পারে সত্যজিতের ওপর হামলা চালাতে। তাদের আশঙ্কা শুধু জেলা কারাগার নিয়ে নয়, ফরিদপুরের আদালত নিয়েও। গত ২৮মে আদালতে হাজিরা দিতে যাওয়ার পর যে অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছিল তা নজিরবিহীন। দুর্বৃত্ত চক্র আদালত ভবনেই তার ওপর হামলার চেষ্টা করেছে এবং আদালতে সত্যজিতকে দেখতে আসা ছাত্রলীগের কর্মীদের মারপিট করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে। এ ব্যাপারে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানিয়েও কোনও প্রতিকার মেলেনি। ফরিদপুরের মানুষ দেখেছে,পুলিশ দুর্বৃত্তদের পক্ষ নিয়ে সত্যজিতের সাথে চূড়ান্ত অন্যায় আচরণ করেছে।

সত্যজিতের পরিবার ও তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের এখন স্পষ্ট ভাবনা, সত্যজিৎ ফরিদপুরে ন্যায় বিচার পাবেন না। সেই সাথে ফরিদপুরে তার জীবন খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। ২৫ টি মিথ্যা ও সাজানো মামলার আসামী সত্যজিৎ তো মামলা ফেস করতেই চান। কিন্তু তিনি সেটা কিভাবে করবেন? ফরিদপুরের আদালত চত্বর ও কারাগারে জীবন শঙ্কা নিয়ে কিভাবে তিনি মামলা ফেস করবেন! আমি মনে করি ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে সত্যজিতের বিরুদ্ধে দায়ের করা বিতর্কিত মামলাগুলোর বিচারিক কার্যক্রম ফরিদপুর থেকে সরিয়ে ঢাকার আদালতে স্থানান্তর করা খুবই জরুরি। আর ন্যায় বিচার নিশ্চিত করতে আদালত স্থানান্তরে কোনই বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে সত্যজিৎ মুখার্জিকে ফরিদপুর কারাগার থেকে ঢাকার কারাগারে স্থানান্তর করতে হবে। যে দেশে বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একাত্তরের ঘাতকদের জন্য সরকারি উদ্যোগে আইনি সহায়তা নিশ্চিত করা হয়, সেই দেশে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক এডভোকেট সত্যজিৎ মুখার্জি পর্যাপ্ত আইনি সহায়তা পাবেন না, সেটা মেনে নেওয়া যায় না।

(পিএস/এএস/মে ৩০, ২০১৭)