আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ থেকে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র আঘাতে উপকূলীয় অঞ্চল লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে। প্রচণ্ড বেগে আঘাত হেনে উপকূল ছুঁয়ে বিদায় নিলেও রেখে গেছে চার ঘণ্টার তাণ্ডবের ব্যাপক ক্ষতির চিহ্ন। ঘূর্ণিঝড় মোরার তাণ্ডবে আতঙ্কিত হয়ে ও গাছ চাপা পড়ে কক্সবাজার ও রাঙামাটি জেলায় ৭ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে কক্সবাজারে পাঁচজন ও রাঙামাটিতে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে।

লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া উপকূলের লোকজনকে উদ্ধারে উপকূলীয় এলাকায় উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে ভারতীয় নৌবাহিনী। রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের তরফ থেকে বুধবার সকালে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশের উপকূলীয় সীমানায় ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি জাহাজ উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে বলে ভারতের তরফ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে।

ঘূর্নিঝড় মোরা কক্সবাজার উপকূল পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগের একদিন পর ভারতীয় নৌবাহিনী এই অভিযান শুরু করেছে।

ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে এখন পর্যন্ত সাত জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে কেউ নিখোঁজ রয়েছেন কিনা সে সম্পর্কে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

ভারতীয় দূতাবাসের তরফ থেকে বলা হয়েছে, চট্রগ্রাম থেকে ৯০ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণে অভিযান চলছে এবং তারা মনে করছেন ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে আরও লোকজন সাগরে ভেসে থাকতে পারে।

দূতাবাসের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ আইএনএস সুমিত্রা মহেশখালী উপকূলে এ অভিযান চালাচ্ছে। সেখানে জাহাজটিকে ত্রানবাহী হিসেবেও উল্লেখ করা হয়েছে।

দূতাবাসের দাবি, মহেশখালী এলাকায় একটি মৃতদেহসহ অন্তত ৩৩ জনকে উদ্ধার করেছে আইএনএস সুমিত্রা। তাদের ধারণা এরা নৌকা ডুবে বা পানির স্রোতে বাড়িঘর থেকে ভেসে গিয়ে মারা গেছে।

জীবিত আরও অনেকে সাগরে ভেসে থাকতে পারে বলে উল্লেখ করে বলা হয়েছে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

উদ্ধার অভিযান শেষে জাহাজটি ত্রাণ হস্তান্তরের জন্য চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙ্গর করবে। এই তল্লাশি ও ত্রাণ কার্যক্রমে বাংলাদেশের নৌবাহিনী সমন্বয় করছে বলে দূতাবাসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার বা নৌবাহিনীর তরফ থেকে এ অভিযানের বিষয়ে কোন কিছু জানানো হয়নি।

(ওএস/এসপি/মে ৩১, ২০১৭)