স্টাফ রিপোর্টার : আগামী (২০১৭-১৮) অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আকার ধরা হয়েছে এক লাখ ৫৩ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। এর মধ্যে স্থানীয় উৎস থেকে জোগান দেয়া হবে ৯৬ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। আর উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে পাওয়া যাবে ৫৭ হাজার কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের জন্য ‘উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলাদেশ: সময় এখন আমাদের’ শিরোনামে ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করেন। এ বাজেটে প্রস্তাবনায় এডিপির বরাদ্দের কথা জানান।

এর আগে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। তবে এর বাইরে স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এ হিসাবে এডিপির আকার এক লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা।

চলতি অর্থবছর মূল এডিপির আকার ছিল এক লাখ ১০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছরে মূল এডিপির বরাদ্দ চলতি এডিপির চেয়ে সাড়ে ৪২ হাজার কোটি টাকা বেশি হচ্ছে। আর সার্বিক এডিপির আকার বাড়বে ৪৫ হাজার কোটি টাকা।

উল্লেখযোগ্য মেগা প্রকল্পগুলোতে বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। এর মধ্যে পদ্মা সেতু প্রকল্পে ৫৫২৪ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, মেট্রোরেল প্রকল্পে ৩৪২৫ কোটি ৮৩ লাখ, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ প্রকল্পে ৭৬০৯ কোটি ৮১ লাখ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ৬৭৭৯ কোটি ৪ লাখ ও মাতারবাড়ি ১২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ারড বিদ্যুৎ প্রকল্পে ২২২০ কোটি টাকা। দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমারের ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্পে ১৫৬১ কোটি ২৪ লাখ টাকা।

আগামী অর্থবছরে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে পরিবহন খাতে। এ খাতে বরাদ্দ প্রস্তাব করা হবে ৪১ হাজার ৫৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হবে বিদ্যুৎ খাতে, ১৮ হাজার ৮৫৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। তৃতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ শিক্ষা ও ধর্ম খাতে, ১৬ হাজার ৬৭৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। চতুর্থ সর্বোচ্চ বরাদ্দ ভৌত পরিকল্পনা, পানি সরবরাহ ও গৃহায়ণ খাতে, ১৪ হাজার ৯৪৯ কোটি ৭২ লাখ টাকা এবং পঞ্চম সর্বোচ্চ বরাদ্দ বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে, ১৪ হাজার ৪৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা।

(ওএস/এসপি/জুন ০১, ২০১৭)