ঢাবি প্রতিনিধি : মাদ্রাসা শিক্ষার বিভিন্ন স্তরের পাঠ্যসূচির ‘জামাতিকরণ-মওদুদীকরণ’ বন্ধ করে পাঠ্যপুস্তক থেকে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও সংবিধান-পরিপন্থী’ বিষয়সমূহ বাদ দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। পরে তারা এ উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে একটি স্মারকলিপি দেয়।

রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মধুর ক্যান্টিন থেকে এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকশ’ শিক্ষার্থী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে যেতে চাইলে পুলিশ তাদের দলবদ্ধভাবে না যাওয়ার অনুরোধ করে। পরে বাংলা একাডেমির বিপরীত পাশে রাস্তায় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্র লীগের সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর মাদ্রাসা শিক্ষা। দেশের ৫০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী মাদ্রাসা শিক্ষা গ্রহণ করে। কিন্তু দেশের মূলধারার শিক্ষা থেকে এ বিপুল অংশকে দূরে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এ শিক্ষাব্যবস্থায় এমন সব বিষয় সংযুক্ত করা হচ্ছে, যা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সংবিধান-পরিপন্থী।

তিনি অবিলম্বে এর সংস্কার দাবি করেন।

এ সময় তিনি কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- মাদ্রাসা শিক্ষার পাঠ্যপুস্তক থেকে রাষ্ট্রীয় মূল চেতনা ও সংবিধান পরিপন্থী সব অধ্যায় ও বিষয়বস্তু বাদ দিতে হবে, সাধারণ শিক্ষার যে বিষয়গুলো মাদ্রাসায় পড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তার অভিন্ন পাঠ্যক্রম নিশ্চিত করতে হবে, মাদ্রাসা বোর্ড এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির আলোকে বাইরের প্রকাশনা সংস্থা থেকে প্রকাশিত বইয়ের বিষয়বস্তুর উপর মনিটরিং করতে হবে, যে সকল বইয়ে রাষ্ট্রবিরোধী পাঠ্যসূচি আছে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করতে হবে, এনসিটিবি’র মতো মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করতে হবে, সরকারের বিনামূল্যে বই বিতরণ প্রক্রিয়া দাখিল (দশম) শ্রেণি থেকে বাড়িয়ে আলিম (একাদশ-দ্বাদশ) শ্রেণি পর্যন্ত করতে হবে।

সমাবেশ শেষে ছাত্রলীগ সভাপতি ও ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্দেশে রওয়ানা করে।

(ওএস/এস/জুন ২২, ২০১৪)