ভ্রমণ ডেস্ক : দেশের তৃতীয় ইকোপার্ক হল টিলাগড় ইকোপার্ক। অবস্থান পাহাড় আর মেঘের দেশ সিলেটে। টিলাময় এই ইকো পার্ক যে কোন এক ছুটির বিকেলে বেড়াতে যাওয়ার জন্য আদর্শ জায়গা। সিলেটবাসীরা তো বটেই, বাইরের অঞ্চলের ভ্রমণকারীরাও নানান পর্যটন স্থল ভ্রমণের পাশাপাশি এক ফাঁকে ঘুরে আসতে পারেন এখানে।

ইকো পার্কটি সবুজ ছায়া ঘেরা। চারিদিকে গাছ-গাছালি, পাখির কূজন। নিরিবিলি পরিবেশ পেতে হলে অবশ্য এড়িয়ে যেতে হবে ছুটির দিন! ছোট-বড় টিলার ফাঁক দিয়ে বয়ে গেছে একটি ছড়া। তার ছল ছল শব্দ মনে আনন্দের দোল দেয়।

পার্কের নিগূঢ় পরিবেশ যেমন আপনার মনকে ভালো করে দেবে তেমনি এর জীব বৈচিত্র দেখতেও ভালো লাগবে। শিয়াল, বানর, খেঁকশিয়াল, খরগোশ, সিভিট, বনমোরগ, মথুরা, হনুমান এবং ময়না, টিয়া, ঘুঘু, হরিডাস, সাত ভাই চম্পা পাখি ইত্যাদি প্রাণীর দেখা পাবেন এখানে। আবার নানান জাতের গাছের মধ্যে আছে চাপালিশ, শাল, গর্জন, চম্পাফুল, জারুল, মিনজিরি, চাউ, ঝাউ, কড়ই, জলপাই, আম, কাঁঠাল, নারিকেল, সুপারি, কামরাঙ্গা, চালতা, আগর, কৃষ্ণচূড়া, শিমুল, বাজনা, নাগেশ্বর, বকুল, হিজল, ডুমুর ইত্যাদি গাছের সমাহার।

টিলাগড় রিজার্ভ ফরেস্টের ১১২ একর জায়গা জুড়ে এই ইকো পার্ক গঠন করা হয়। ২০০৬ সালে স্থাপিত হওয়ার পর থেকে আজ অবধি এটি এলাকার মানুষের অবকাশ যাপনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা হয়ে আছে।

কীভাবে যাবেন:

ঢাকা থেকে সিলেট যাওয়ার সরাসরি বাস রয়েছে। কিছুক্ষণ পর পরই ছাড়ে বাসগুলো। ফকিরাপুল, সায়েদাবাদ আর মহাখালী থেকে বাস পাবেন। ট্রেনে আসতে চাইলে কমলাপুর থেকে আসতে পারেন। প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৬টা ৪০ মিনিটে পারাবত আর দুপুর ২টায় জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ছেড়ে যায় সিলেটের উদ্দেশ্যে। বুধবার ছাড়া প্রতিদিন রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ছাড়ে উপবন এক্সপ্রেস।

সিলেট থেকে সিএনজি বা অটো যোগে চলে যাবেন টিলাগড় ইকোপার্ক।

কোথায় থাকবেন:

সিলেটে ছোট বড় নানান মানের হোটেল আছে। পছন্দমত উঠতে পারেন। দরদাম করে নেবেন অবশ্যই।

(ওএস/এসপি/জুন ০২, ২০১৭)