স্টাফ রিপোর্টার : ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের কয়েকটি বিষয় জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করে ক্ষমতাসীন ১৪ দল। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন এ জোট সেই বিষয়গুলো সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছে।

রবিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রস্তাবিত বাজেট ও ঘূর্ণিঝড় মোরা নিয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠক শেষে ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম সাংবাদিকদের বলেন, একটি বিশাল অঙ্কের উচ্চাভিলাষী বাজেট দেয়ায় অর্থমন্ত্রীকে আমরা ধন্যবাদ জানাই। তবে আমানত, আবগারি শুল্ক ও সারচার্জসহ কয়েকটি বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি, এ বিষয়ে আমাদের পর্যবেক্ষণ রয়েছে।

তিনি বলেন, বাজেটের যে বিষয়গুলো জন-আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়ন করতে পারেনি, সেগুলো আশা করি প্রধানমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রী বিবেচনা করবেন।

নাসিম বলেন, এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী বাজেট প্রমাণ করেছে যে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে উচ্চমধ্যম আয়ের দেশের দিকে আমরা এগিয়ে যাব।

বাজেট নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের সমালোচনার বিষয়ে সরকারের মন্ত্রী নাসিম বলেন, এ বাজেট গরিবকে সাহায্য করবে। কিন্তু তারা (বিএনপি) সমালোচনা করতে অভ্যস্ত, আমাদের সমর্থন তারা করতে পারেন না। হাওয়া ভবন বানিয়ে যারা ধনীর স্বার্থরক্ষা করেছে তাদের মুখে এসব (গরিব শোষণের বাজেট বলা) শোভা পায় না।

অর্থনীতিবিদদের সমালোচনার বিষয়ে নাসিম বলেন, বিশ্লেষণে কিছুটা নেগেটিভ না বললে তারা আবার অর্থনীতিবিদ হবে কীভাবে? এটা তাদের অভ্যাস।

আগামী নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এই প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি প্রেসক্রিপশন শুরু হয়ে গেছে। এ অধিকার তাদের কে দিয়েছে? সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে, কিন্তু দেশি-বিদেশি চেনামহল চক্রান্তে তৎপর হয়ে উঠেছে।

নাসিম বলেন, জামায়াত-বিএনপি হুমকি দিচ্ছে। তারা চক্রান্ত করে ব্যর্থ হয়েছিল, হেফাজত চক্রান্ত করে ব্যর্থ হয়েছে। সামনে কোনো চক্রান্ত হলে, প্রেসক্রিপশন দিলে; সেটি প্রতিহত করতেও আমরা মাঠে নামব।

রাঙামাটির লংগদুর ঘটনায় ১৪ দল উদ্বিগ্ন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তার নেতৃত্বে ১৪ দলের প্রতিনিধিরা আগামী মঙ্গলবার ওই এলাকায় যাবে বলে জানান নাসিম। এছাড়া বুধবার কক্সবাজারসহ ঘূর্ণিঝড় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ১৪ দলের আরেকটি প্রতিনিধিদল যাবে বলে জানান তিনি।

(ওএস/এসপি/জুন ০৪, ২০১৭)