স্বাস্থ্য ডেস্ক : রমজান মাসে সারা দিন রোজা রাখার পর সন্ধ্যায় ইফতার, রাতে খাবার ও শেষ রাতে সেহরি খাওয়া হয়।

মূলত রোজা শুরু করতে হয় সেহরি দিয়েই। তাই সেহরির ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। তবে অনেকে আছেন যারা সেহরি খেতে চান না বা রাতেই সেহরির খাবার খেয়ে থাকেন।

তারা একেবারে রাত সাড়ে ১২টার দিকে খাবার খান বা সাহরিতে উঠে এক গ্লাস পানি অথবা এক গ্লাস দুধ খেয়ে শুয়ে পড়েন।

এ কারণ হলো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা। এমনটা করা ঠিক নয়, কারণ সেহরিকে গুরুত্ব না দিলে আপনি অসুস্থ বা দুর্বল হয়ে পড়তে পারেন।

এ বছর রোজার সময় প্রায় ১৫ ঘণ্টা। দিনের মধ্যবর্তী সময় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আপনাকে রোজা রাখতে হয়। কেউ যদি রাত ১২টায় খাবার খেয়ে পরদিন ইফতার করেন তাহলে তাকে প্রায় ১৮ ঘণ্টা না খেয়ে থাকতে হবে।

এ দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার ফলে পানি স্বল্পতায় ভুগবেন এবং শরীর ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়বে, এতে মাথা ঘোরাতে পারে, কাজকর্মে মন বসবে না। ফলে কয়েকটি রোজা রাখার পর বাকিগুলো রাখা আপনার পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে।

এসব কারণে সেহরিতে খাবার খাওয়া খুব জরুরি।

সেহরির খাবার:

সেহরিতে ভাতই খেতে হবে এমন কোনো কথা নেই। রুচি অনুযায়ী রুটি-পরোটা-পাউরুটি দুধ সেমাইও খাওয়া যেতে পারে। এ সময় ডিম ও মাংস খাওয়া যেতে পারে। ছোট-বড় সবার ক্ষেত্রেই সাহরিতে এক কাপ দুধ খাওয়া প্রয়োজন।

তবে সেহরিতে কম মশলার হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। গুরুপাক খাবার না খাওয়াই ভালো।

ডা. ফাহিম আহমেদ রুপম
মেডিসিন অ্যান্ড ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ
ইমপালস হাসপাতাল, তেঁজগাও, ঢাকা

(ওএস/এসপি/জুন ০৮, ২০১৭)