লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : নড়াইলের লোহাগড়ায় অপহরণের ১ মাস ৩ দিন পর  অপহৃত গৃহবধূসহ এক কিশোরীকে উদ্ধার করেছে লোহাগড়া থানা পুলিশ।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার লাহুড়িয়া ইউপির দ্বীননাথপাড়ার বাবুল মিয়ার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা লিপি (১৯) ও প্রতিবেশী জহির মুন্সীর ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া মেয়ে আফরোজা খানম (১৪) কে গত ১৮ মে বিকাল ৫ টার দিকে তাদের বাড়ির সামনে থেকে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা মোটর সাইকেল যোগে অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।

এ ঘটনার পর বাবুল মিয়া লোহাগড়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী দায়ের করেন। পরবর্তীতে, অপহৃত জাকিয়ার স্বামীসহ এলাকাবাসী নড়াইল, মাগুরা, যশোরসহ বিভিন্ন এলাকায় তাদের খোঁজ-খবর করেও অপহৃতদের কোন সন্ধান পায় নাই। এরপর বাবুল মিয়া মাগুরা জেলার শালিখা থানার পুলুম গ্রামের লুলু মিয়া, জুয়েল, পলাশ ও রজিবুলসহ অজ্ঞাত ৫/৬ জনের নামে লোহাগড়া থানায় একটি অপহরনের মামলা দায়ের করেন। মামলা করার পর থেকেই অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনে স্বামী বাবুল মিয়ার নিকট ৬ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। তিনি মুক্তিপণের বিষয়টি লোহাগড়া থানা পুলিশকে অবহিত করেন।

এর পর পুলিশ অপহরণকারীদের মোবাইলের কললিষ্ট ট্রাকিং করে অপহরণকারীদের অবস্থান শনাক্ত করেন। বিষয়টি আচঁ করতে পেরে অপহরণকারীদের একজন আত্মীয় গৃহবধুসহ কিশোরীকে রবিবার সকালে ঢাকা থেকে মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউপির চেয়ারম্যান আমিনুর রহমানের বাড়িতে নিয়ে আসে। গঙ্গারামপুর ইউপির চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান ঘটনাটি মাগুরা ও লোহাগড়া থানা পুলিশ কে অবহিত করেন।

খবর পেয়ে গত রবিবার লোহাগড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার গঙ্গারামপুর ইউপির চেয়ারম্যান আমিনুর রহমানের সহযোগিতায় অপহৃত আফরোজা খানম ও জাকিয়া সুলতানা লিপি কে উদ্ধার করে লোহাগড়া থানায় নিয়ে আসেন।

লোহাগড়া থানার উপ-পরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানান, উদ্ধার হওয়া গৃহবধুসহ কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য সোমবার সকালে নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং তাদের আদালতে সোপর্দ করে ২২ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।

(এমবি/জেএ/জুন ২৩, ২০১৪)