স্টাফ রিপোর্টার : ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতা নেয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত পাল্লা দিয়ে যেভাবে ক্ষমতাসীনদের লুটপাট আর দুর্নীতি চলছে তা বাংলাদেশের ইতিহাসে নজীরবিহীন। গতকালও ভোটারবিহীন সংসদের এমপিরা বলেছেন, ব্যাংক থেকে হাজারো কোটি টাকা লুটপাট করে দেশ থেকে পাচার করে দেয়া হচ্ছে। তাদের বক্তব্যে লুটপাটের কথা শুনে দেশবাসী আরও বেশি বিস্মিত হয়েছেন। লুটপাটের কারণে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সমস্ত আর্থিক খাত আজ শুন্য গহব্বর হয়ে গেছে।

শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সমাজের প্রতিটি সেক্টরে দুর্নীতি বাসা বেঁধেছে। জোর জবরদস্তি করে মানুষের সম্পদ দখল আওয়ামী লীগের নেশায় পরিণত হয়েছে। নিয়োগ ও বদলি বাণিজ্য চলছে মহাসমারোহে। চাল-ডাল-লবণ-তেল থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় সকল পণ্যের দাম বাড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।

রিজভী বলেন, বাণিজ্যমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন, রমজানে নিত্য প্রয়োজনীয় কোনো দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাবে না, অথচ এমন কোনো জিনিস নেই যার মূল্য দেড় গুণ থেকে দ্বিগুন বৃদ্ধি পায়নি। তিনি কথা রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ব্যর্থতা ঢাকতেই একতরফা আইন করে প্রধানমন্ত্রী নিরঙ্কুশ ক্ষমতার অধিকারিনী হয়েছেন। গণতন্ত্রের দেহে ছুরি চালিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছেন। এখন এনেসথেশিয়া হিসেবে আকাশ-বাতাস-মৃত্তিকায় নির্বাচনী আওয়াজ তুলে দেশের মধ্যে ফটকা আনন্দলহরি জাগিয়ে তুলে জনগণের দৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে সরানোর প্রচেষ্টায় নিয়োজিত হয়েছেন।’

আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ অবাধ, সুষ্ঠু ও সবার অংশগ্রহণ চায় কী না তা নিয়ে এখনও জনমনে ব্যাপক সংশয় রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন রিজভী।

রিজভী বলেন, আগামী দিনে আওয়ামী ঝুড়িতে অবৈধ ভোট ভরার জন্য কোনো নীল-নকশা বা অভিনব ইঞ্জিনিয়ারিং বাস্তবায়িত হতে দেবে না জনগণ। সন্ত্রাসের নির্মান ও বিপণন করে আগামী জাতীয় নির্বাচনে ভোট ডাকাতির কোনো সুযোগ পাবে না ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।

(ওএস/এসপি/জুন ০৯, ২০১৭)