স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশ অার আওয়ামী লীগ একাকার হয়ে ইফতার মাহফিলে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। এভাবে বিরোধীদলকে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান থেকে সরকার বিরত রাখতে চায় বলে দলটির অভিযোগ।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, পবিত্র রমজান মাসে সারা বিশ্বের মুসলিম জাতি যখন রমজানে সিয়াম সাধনা করছে, তখন দেশে সরকারের সন্ত্রাসীরা বিরোধীদলীয় ইফতার মাহফিলে আক্রমণ করছে। বাড়িতে বাড়িতে হানা দিচ্ছে। তারা দ্রুত বিচার আইনের অধীনে মামলার ভয় দেখাচ্ছে।

শনিবার দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, গতকাল শুক্রবার নরসিংদীতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানের ইফতার মাহফিলে বাধা দিয়েছে। মঞ্চ পণ্ড করেছে। ছাত্রলীগের স্থানীয় সন্ত্রাসীরা সশস্ত্র হামলা করে ইফতার মাহফিল ভাঙচুর করেছে।

তিনি বলেন, মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াজ্জেম হোসেন রোমানের বাড়িতে ইফতার মাহফিলের অায়োজন করা হলে তার বাড়িতে হামলা চালায় পুলিশ। পরে ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দিয়েছে। ঢাকার দোহারেও ইফতার মাহফিলে বাধা দেয়া হয়েছে। মনে হচ্ছে পুলিশ এখন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করছে। এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রিজভী।

তিনি আরো বলেন, দেশে বন্দুকযুদ্ধের নামে প্রতিনিয়ত চলছে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড। গ্রেফতার করা হচ্ছে বহু সাধারণ মানুষকে। দেশে সরকার আছে বলে মনে হয় না। তবে যারা এ ধরনের কাজ করছে তাদেরও কালো তালিকা হচ্ছে। কেউ পার পাবেন না। কারণ আপনারা জঘন্যতম মানবতাবিরোধী কাজ করছেন।

দ্রুত বিচার আইনের সাজার মেয়াদ বাড়ানোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আজকে ভয়ভীতি দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে জোর করে টাকা অাদায় করা হচ্ছে। এই হলো দেশের বর্তমান অবস্থা।

নরসিংদীতে জেলা ছাত্রদল নেতাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে গেছে জানিয়ে তিনি অবিলম্বে তার সন্ধান দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন ও কাজী আবুল বাশার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

(ওএস/এসপি/জুন ১০, ২০১৭)