সংসদ থেকে : বাংলাদেশে চিড়িয়াখানা আইন না থাকায় মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বয়স্ক প্রাণি ও পাখি অপসারণ করা যায় না। সে কারণে বাংলাদেশ চিড়িয়াখানা আইন-২০১৪ আইনের খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।

সোমবার জাতীয় সংসদে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক সংসদ সদস্য মো. ইলিয়াস আলী মোল্লাহর টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

সংসদকে মন্ত্রী জানান, ঢাকা চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ২২ হাজার প্রজাতির প্রাণির পাখি ও প্রাণির মধ্যে ৩৪টি বয়স্ক প্রাণি ও পাখি রয়েছে। এসব পাখি ও প্রাণি নিজ নিজ খাঁচায় বসবাস করছে। যে সব প্রাণি স্বাভাবিক আয়ুস্কাল অতিক্রম করে বয়স্ক তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। এরা সাধারণত দৃষ্টি নন্দন থাকে না এবং বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভোগে। তাই এদের লালন পাল না করে বেদনাহীন মৃত্যুর ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে চিড়িয়াখানা আইন না থাকায় মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বয়স্ক প্রাণি ও পাখি অপসারণ করা যায় না।

মন্ত্রী বলেন, খসড়া আইনের ১২ ধারায় বেদনাহীন মৃত্যুর ব্যবস্থা করার বিধান রাখা হয়েছে।

সংসদকে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে যেসব প্রাণি বার্ধক্যজনিত জটিলতার কারণে অন্যান্য প্রাণির সঙ্গে অবস্থান করে চলাফেলা ও খাদ্য গ্রহণে সমস্যার সম্মুখীন হয় এবং দর্শনার্থীদের প্রদর্শনের অনুপযোগী হয়, তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে পরিচর্যা করার মতো নবনির্মিত কোয়ারেনটাইন ভবন ও ভেটেনারি হাসপাতালের বিশেষ ওয়ার্ডে রেখে বিশেষ খাদ্য ব্যবস্থাপনায় লালন পালন করা হয়। এভাবে ঢাকা চিড়িয়াখানায় ১৫ থেকে ২০টি ছোট ও মাঝারি ধরণের প্রাণীকে লালন পালন করার সুযোগ রয়েছে। তবে বৃহৎ প্রাণি গণ্ডার, জিরাফ, কিংবা হাতিকে বিদ্যমান আইসোলেশনে রাখার সুযোগ নেই।


জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু


(ওএস/এটিআর/জুন ২৩, ২০১৪)