ডেস্ক রির্পোট : বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ, জেদ্দা-বন্ধ হয়ে যাবার আতঙ্কে দিশেহারা ২,৫০০ ছাত্রছাত্রী। অস্থির অভিভাবকগণ। আজ ২২ জুন, রবিবার ছাত্রছাত্রী আর অভিভাবকগণ স্কুল বাঁচাতে মানববন্ধন করেছে জেদ্দা বাংলাদেশ কনস্যুলেট প্রাঙ্গনে।

ছাত্রছাত্রীরা বহন করছিল ব্যানার, প্লেকার্ড। স্কুল বাঁচাতে এসব ব্যানার প্লেকাডে ঠাঁই পেয়েছে নানা স্লোগন। যেমন, স্কুল বাঁচাও – প্রবাসী প্রজন্ম বাঁচাও; কেবলমাত্র অভিভাবকদের অর্থে চলছে স্কুল, স্কুল-ভবন নির্মান ও জমি ক্রয়ে সরকারি সহায়তা চাই, আকুল আবেদন বাংলাদেশ সরকারের কাছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে, স্কুল বাঁচান, প্রবাসী প্রজন্ম বাঁচান! বাংলা স্কুল রক্ষায় সরকারের এগিয়ে আসা ছাড়া কোনই বিকল্প নাই, আমাদের একটাই চাওয়া স্কুল বাঁচাও – প্রবাসী প্রজন্ম বাঁচাও! শিক্ষার সুযোগ থেকে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত হবে প্রবাসী প্রজন্ম ? প্রবাসীরা বাঁচলে বাঁচবে বৈদেশিক মুদ্রার যোগান বাঁচবে বাংলাদেশ! আমার স্কুল, আমার প্রাণ আমাকে পড়ার সুযোগ দিন আমাকে বাঁচতে দিন! প্রবাসে বেড়ে উঠছি আমরা মেধাবী নতুন প্রজন্ম আমরা মুর্খ থাকব?? জাতীয় শিক্ষা বাজেটে প্রবাসী প্রজন্মের অংশ চাই প্রবাসী কল্যাণ তহবিল থেকে স্কুলের জন্যে সহায়তা চাই স্কুল বাঁচাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রীসহ প্রধানমন্ত্রীর সাহায়তা চাই ।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ, জেদ্দা আজ বাঁচা-মরার সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে।

সৌদি শিক্ষামন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বর্তমান স্কুল ভবনটিকে অনিরাপদ ঘোষণা করেন এবং ১৪৩৪/১৪৩৫ হিজরী শিক্ষাবর্ষের শেষ নাগদ (জুলাই, ২০১৪ইং) বর্তমান স্কুল ত্যাগ করে, নতুন ভবনে স্কুল স্থানান্তরের জন্য চিঠি ইস্যু করেন। উক্ত নতুন স্কুল-ভবন অবশ্যই সৌদি শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সিটি কর্পোরেশন ও সিভিল ডিফেন্সের যাবতীয় শর্তের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।

কিন্তু বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ, জেদ্দা-এর পক্ষে স্কুল-কোড অনুযায়ী নিজস্ব স্কুল-ভবন নির্মান এখন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীণ। কারণ, স্কুল চলছে কেবলমাত্র অভিভাবকদের অর্থে। নো-লস, নো-প্রফিট নীতিতে পরিচালিত স্কুলের বড় কোন ফান্ড নেই। অথচ নতুন স্কুল-ভবন নির্মাণ, জমি ক্রয়ের জন্যে আবশ্যক ৪০ মিলিয়ন সৌদি রিয়াল। অভিভাবকগণ আর প্রবাসী কম্যুনিটির সহায়তায় ১০ মিলিয়ন রিয়াল যোগাড় করা হয়তো সম্ভব। বাকী অর্থের জন্যে আবশ্যক বাংলাদেশ সরকারের সহায়তা। আর তা দরকার এখনই। না হলে স্কুল বন্ধ হয়ে যাবে।

জেদ্দা কনস্যুলেটে মানব বন্ধনে অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রী এবং অভিভাবকগণ আবেগ জড়িত কন্ঠে বাংলাদেশ সরকার, বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানান। তাছাড়া কনসাল জেনারেলের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে একখানা স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।
কনসাল জেনারেল মহোদয় স্মারকলিপি গ্রহণ করেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সমীপে যথা শীঘ্র প্রেরণের আশ্বাস দেন।

জেদ্দা বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের ভাগ্য এখন ঝুলে আছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের উপর। কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা, বৈদেশিক মূদ্রার যোগানদাতা অভিভাবকরা তাই একবুক প্রত্যাশা নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুণছেন।
(এএস/জুন ২৩, ২০১৪)