দেবাশীষ বিশ্বাস, রাজবাড়ীর : রাজবাড়ীর  বালিয়াকান্দি উপজেলার নারীদের হাতে তৈরি টুপি রফতানী হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশে। ঈদকে সামনে রেখে তাই তাদের ব্যস্ততা বেড়ে গেছে বহুগুণ।

বালিয়াকান্দি উপজেলার সালমারা, গাড়াখোলা, বড় হিজলী, বেরুলী সোনাপুর, লাড়িবাড়ী গ্রামের স্কুলছাত্রী থেকে শুরু করে গৃহবধূ পর্যন্ত টুপি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে। এসব গ্রামের প্রায় ১ হাজার কর্মী তৈরি করছে টুপি। তাদের নিপুন হাতে তৈরি এসব টুপি রফতানী হচ্ছে সৌদিআরব, ওমান, বাহারাইন সহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে। এলাকার প্রায় প্রতিটি পরিবারের নারী সদস্য এই টুপি তৈরির কাজে যুক্ত রয়েছে। পড়ালেখার ফাঁকে বা গৃহস্থালি কাজের ফাঁকে তারা এ কাজ করে থাকে। উৎপাদন খরচ কম থাকায় বেশ লাভজনক হচ্ছে এই পেশা।

২০০৩ সালে ওমান প্রবাসী যুবক দেশে ফিরে নারীদের টুপি তৈরির কাজে উদ্বুদ্ধ করেন। তারপর থেকে ব্যবসাটি লাভজনক হওয়ায় গ্রামের নারীরা এ কাজে জড়িত হয়ে পড়ে। টুপি রফতানীকারক জুলফিকার আলী জানান, বিদেশে এই টুপির চাহিদা অনেক। মধ্যপ্রাচ্যে এই টুপি বিক্রি হয় বাংলাদেশী টাকায় ২০০০ থেকে ২৫০০টাকায়।

তিনি আরো জানান, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অপ্রতুল। তিনি বলেন সরকার যদি মধ্যপ্রাচ্যে এই বাজার ধরতে পারে তবে দেশে অর্থনৈতিক ভাবে আরো স্বনির্ভর হবে।

টুপি তৈরি নিয়ে বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কালাম আজাদ জানান, বালিয়াকান্দির নারুয়া ইউনিয়নের শতাধিক পরিবার এই পেশার সাথে জড়িত যারা নিজে অর্থরোজগার করে বিদেশে নিজ দেশের সুনাম রক্ষা করছে। তিনি আরো বলেন আমি শুনেছি সেখানে চাহিদার তুলনায় সরবাহার অপ্রতুল এই দিক বিবেচনায় এনে আমরা কাজ করবো।

(ডিবি/এসপি/জুন ১১, ২০১৭)