লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : তালিকাভুক্ত হওয়ায় লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার জেলেরা প্রতি মাসে চাউল পেলেও গত মে মাসের চাউল ২৩ জুন পার হলেও এখনও পায়নি। এতে জেলেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম অর্থ সংকটে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। রায়পুর উপজেলার প্রায় ১০ হাজার জেলে মেঘনা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন।

এদের মধ্যে ৬ হাজার জেলে পরিবারকে তালিকাভুক্ত করে মার্চ-এপ্রিল-মে-জুন এ চার মাস খাদ্য সহায়তা দেয়ার জন্য চিহ্নিত করে সরকারের মৎস্য অধিদপ্তর।
রায়পুর মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, ইলিশ সংরক্ষণে নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত টানা ৮ মাস মেঘনা নদীতে জাটকা নিধন সম্পূর্ণ বন্ধ রাখে সরকার। এ সময় জেলেরা মাছ ধরা ছাড়া অন্য কোনো কাজ না করায় পরিবার নিয়ে তাদের চরম অর্থকষ্টে পড়তে হয়। তাদের এ কষ্ট লাঘবের জন্য সরকার মার্চ থেকে জুন চার মাস পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা বাবদ ভিজিএফ কর্মসূচির আওয়তায় প্রতিটি জেলে পরিবারকে ৪০ কেজি করে খাদ্য হিসেবে চাউল দিয়ে আসছে।
জেলা মৎস্যজীবী জেলে ফেডারেশনের সভাপতি মোস্তফা বেপারী জানান, মে মাসের চাউল এখন না পাওয়ায় দরিদ্র জেলেদের পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম অর্থকষ্টে পড়তে হয়েছে। তাদের কষ্টের কথা চিন্তা করে সরকার বরাদ্দ দিলেও এখন তারা হাতে পাচ্ছে না।
মৎস্য অধিদপ্তরের জাটকা সংরক্ষণ ও জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান গবেষণা প্রকল্পের পরিচালক জাহিদ হাবিব জানান, রায়পুরে জেলেদের চিহ্নিতকরণের সময় একটি অনিয়মের অভিযোগ উঠায় মে মাসের চাউল বিতরণ কয়েক দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল। পরে তা বিতরণের জন্য বলা হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন জানান, মে মাসের চাউল বিতরণের জন্য ৯ জুন চিঠি দিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে। কিন্তু বিতরণ বিলম্ব হওয়ার কারণ তার জানা নেই।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা গোলাম সারওয়ার জানান, জেলেদের চাউল কয়েক দিনের মধ্যে বিতরণ করা হবে। এজন্য ডিও (ডেলিভারি ওয়ার্ডার) ইস্যু করা হয়েছে।
(এমআরএস/এএস/জুন ২৩, ২০১৪)