মাহবুব আরিফ


আগামী ১৫ জুন জুন ২০১৭ আমাদের দেশের প্রধান মন্ত্রী সুইডেনে সরকারি সফরে দুইদিন অবস্থান করবেন, সুইডেন প্রবাসীদের জন্যে খবরটা যতটা না সুখের তার চাইতে বেশী আতঙ্কের, কারণ যে কোন দেশেই প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে প্রবাসী দলীয় নেতা কর্মীরা ভিড় জমে, দলীয় কোন্দল আর হানাহানির যে কুফল যা কিনা দ্বিতীয়, তৃতীয় ও নতুন প্রজন্মের বাঙ্গালীদের নিদারুণ ভাবেই আহত করে সব চাইতে বেশী।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সামান্য একটু ভালোবাসা আর স্নেহ এই প্রবাসে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও নতুন প্রজন্মের বাঙ্গালীদের যে কতটুকু গর্বিত করতে পারে তা একজন প্রবাসীই উপলব্ধি করতে পারে, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বহুকাল আগে প্রবাসী ছিলেন দীর্ঘকাল তাই আমার বিশ্বাস তিনি প্রবাসীদের এই কষ্টটা অন্তর দিয়ে অনুধাবন করতে পারবেন। আমার বিশ্বাস অন্তত এবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রবাসে সফরে এসে দ্বিতীয়, তৃতীয় ও নতুন প্রজন্মের বাঙ্গালীদের তার স্নেহ আর ভালোবাসা জানিয়ে শুধু মাত্র তাদের সাথেই সমাবেশের আয়োজন করবেন।

বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রবাসে আসবেন সেই সাথে যদি পুরনো ধ্যান ধারনাকে বিসর্জন দিয়ে প্রবাসে বসবাসকারী দ্বিতীয়, তৃতীয় ও নতুন প্রজন্মের মেধাবী বাঙ্গালীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হতেন তবে বাংলাদেশের জন্যে এক নতুন দার উন্মোচন হয়ে যেত।

আমার দেখা যতবার আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রবাসে এসেছেন ঠিক ততবারই প্রবাসী আওয়ামী উত্তেজনা, দিন দিন বেড়েই গেছে।

বর্তমানে প্রায় ১ কোটির উপর বাংলাদেশীরা প্রবাসে অবস্থান করছেন যাদের অনেকেরই জন্ম প্রবাসে হলেও জীবন যাত্রা ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ে একজন বাঙালী, দ্বিতীয় ও তৃতীয় ও নতুন প্রজন্মের এইসব বাঙ্গালীরা প্রবাসে আজ প্রতিষ্ঠিত, কর্মক্ষেত্রে পড়াশোনায় অনেকেই দারুণ ভাবেই সুনাম অর্জন করেছে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন প্রবাসে আসেন এই দ্বিতীয় ও তৃতীয় ও নতুন প্রজন্মের বাঙ্গালীদের মাঝে গর্বের সীমা থাকেনা।

কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যতবারই প্রবাসে এসে ফিরে যান ঠিক ততবারই দলীয় কোন্দল আর হানাহানির মাত্রা এতটাই বেড়ে যায় যে আমাদের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ও নতুন প্রজন্মের সন্তানদের মাঝে এক নিদারুণ হতাশার সৃষ্টি হয়, গতানুগতিক ভাবে বিগত কয়েক বছর যাবত ইউরোপে আওয়ামী কোন্দলের যে ভয়াবহ রূপ পরিলক্ষিত হয়েছে তাতে প্রবাসী বাঙালী ও বাংলাদেশ সুনাম অনেকাংশে ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

সত্যি কথা বলতে কি বাংলাদেশের নিজের সন্তানরাই দেশের উন্নয়নে সকল ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত কিন্তু তাদের কথা ভেবেছে কজন?

লেখক : সুইডেন প্রবাসী।