আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গ্রিস ও তুরস্ক উপকূলে ভূমিকম্পের আঘাতে বহু ক্ষয়ক্ষতির ঘটনা ঘটেছে। লেসবস দ্বীপে ভূমিকম্প আঘাত হানার পর গ্রিসে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। রিখটার স্কেলে সোমবার আঘাত হানা ওই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬ দশমিক ২। ভূমিকম্পের আঘাতে বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত এক নারীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভূমিকম্পের আঘাতে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। খবর নিউ ইয়র্ক টাইমসের।

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, লেসবসের দক্ষিণ দিকের ভ্রিসা গ্রাম সংলগ্ন সমুদ্রের কাছেই ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। তুরস্কের বিপর্যয় মোকাবেলা দফতর জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল অন্তত সাত কিলোমিটার গভীরে ছিল। প্রথম কম্পনটি স্থানীয় সময় সোমবার সাড়ে তিনটার দিকে অনুভূত হয়েছে। এর পরে অন্তত আরো ২৫টি ভূকম্প পরবর্তী কম্পন হয়েছে। ইস্তানবুল ও দক্ষিণ তুরস্কের ইজমির প্রদেশেও কম্পন অনুভূত হয়েছে।

দক্ষিণ লেসবসের অন্তত ১২টি গ্রাম ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে কেন্দ্রস্থলের কাছাকাছি হওয়ায় সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভ্রিসা গ্রামটিই। কম্পনের কারণে বাড়ি ভেঙে পড়ে মৃত্যু হয়েছে গ্রামের এক নারীর। ভূমিকম্পের কারণে বেশ কিছু রাস্তাঘাট বন্ধ রয়েছে।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থলের কাছেই তুরস্কের কারাবুরুন এলাকা। সেখানেও প্রচন্ড কম্পন অনুভূত হয়েছে। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানিয়েছেন, ‘কিভাবে পালিয়ে গিয়ে প্রাণ বাঁচিয়েছি নিজেই জানি না’।

লেসবসের মেয়র স্পিরোজ গ্যালিনোস জানিয়েছেন, পুরোদমে উদ্ধার কাজ চলছে। ঘরহীন বাসিন্দাদের জন্য অস্থায়ী তাঁবুর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে আশপাশের দ্বীপগুলোয় ক্ষতি হয়নি বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে ১৯৯৯ সালে গ্রিস ও তুরস্কে দু’টি বড় ভূমিকম্পে অন্তত ১৮ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।

(ওএস/এএস/জুন ১৪, ২০১৭)