স্বাস্থ্য ডেস্ক : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা : কাঁঠালের নানা উপাদান আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এর ভিটামিন ‘সি’ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়। পাশাপাশি বাড়ায় রক্তের শ্বেতকনিকার কার্যক্ষমতা। এই ফলে আছে ভিটামিন ‘বি-৬’, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এটি পটাশিয়ামের খুব ভালো উৎস হওয়ায় রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে। ঝুঁকি কমায় হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের।

চোখের উপকার :

কাঁঠালে ভিটামিন ‘এ’সহ নানা ভিটামিন রয়েছে। ফলে তা দৃষ্টিশক্তি উন্নত ও শক্তিশালী করে। এ ছাড়া এই ফল চোখকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। প্রতিরোধ করে চোখে ছানি পড়ার হাত থেকে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ :

কাঁঠালে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ফাইটোনিউট্রিঅ্যান্ট উপাদান। এসব উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধক। পাশাপাশি চেহারায় বয়সের ছাপ ফেলতে দেয় না। কাঁঠালের বিভিন্ন উপাদান কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। আর কাঁঠালে থাকা উচ্চ আঁশও ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।

হজমে সহায়ক :

কাঁঠাল হজমে সহায়ক এবং পেটের জন্য উপকারী। এটি আলসার প্রতিরোধ করতে পারে এবং হজমের সমস্যা দূর করে। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য মোকাবেলার জন্যও ভালো।

শক্তি বাড়ায় :

দেহের এনার্জির মাত্রা বাড়ায় কাঁঠাল। এতে থাকা ফ্রুকটোজ ও গ্লুকোজ চমৎকারভাবে দেহের শক্তি বাড়ায় রক্তে চিনির মাত্রা না বাড়িয়েই।

অ্যাজমা প্রতিরোধ :

এই ফল অ্যাজমা প্রতিরোধে খুবই কার্যকর। গবেষণায় দেখা গেছে, কাঁঠালের শিকড় এবং নির্যাস ফুটিয়ে সেই পানি খেলে অ্যাজমা প্রতিরোধ সম্ভব।

থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণে :

কাঁঠাল হচ্ছে কপারের ভালো উৎস। ফলে এটি থাইরয়েড হরমোনের উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণে ভালো ভূমিকা রাখে। তাই থাইরয়েডের সমস্যা থাকলে যেকোনো কড়া ওষুধ খাওয়ার আগে কাঁঠাল খেয়ে দেখতে পারেন।

মজবুত হাড় :

কাঁঠালে রয়েছে ম্যাগনেশিয়াম। এটি ক্যালসিয়াম শোষণ করে। আর ক্যালসিয়াম হাড়ের গঠন করে মজবুত।

(ওএস/এসপি/জুন ১৪, ২০১৭)