কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : অবৈধ গর্ভপাত করতে গিয়ে রোগী মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার আলেয়া ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার পরিদর্শণ করেছেন কলাপাড়া স্বাস্থ্য প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি টিম। বুধবার দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা. আঃ মান্নান ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. জে এইচ খান লেলিন আলেয়া ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার পরিদর্শণে যান। কিন্তু ক্লিনিকটি তালাবদ্ধ থাকায় মালিক,ডাক্তার এবং দায়িত্বশীল কাউকে না পেয়ে তাঁরা ফিরে আসেন।

উপজেলা স্বাস্থ্য প্রশাসক ডা. আঃ মান্নান সকালের খবর কে জানান, ডিজি’র নির্দেশনা অনুসারে ওই ক্লিনিকে রোগী মৃত্যুর ঘটনার সঠিক তথ্য জানতে তারা ক্লিনিক পরিদর্শনে যান। কিন্তু গত পাঁচদিন ধরে আলেয়া ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারটি তালাবদ্ধ বলে সেখানকার বাসিন্দারা তাদের জানিয়েছেন। এ কারনে ক্লিনিকে দায়িত্বশীল কাউকে না পেয়ে তারা ফিরে এসেছেন।

উল্লেখ্য, গত ১০ জুন দুপুরে আলেয়া ক্লিনিকে সাড়ে চার মাসের গর্ভবতী জুলেফার বেগমের অবৈধ গর্ভপাত করতে গিয়ে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ১১ জুন কলাপাড়া থানায় চার জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন নিহত গৃহবধুর স্বামী মো. আলাউদ্দিন। পুলিশ এ ঘটনায় ল্যাব মালিকের ছোট ভাই শফিকুল ইসলাম শামিম ও নার্স মমতাজ বেগমকে গ্রেফতার করেছে। মামলার অপর দুই আসামী হলেন ল্যাব মালিক আমিনুল ইসলাম ও ল্যাব এ্যাসিট্যান্ট মাহাতাব হোসেন টিটু।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ইতিপূর্বেও আলেয়া ক্লিনিকে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় পটুয়াখালী সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে অভিযান চালিয়ে দু’বার সিলগালা করে দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু অদৃশ্য ক্ষমতার প্রভাবে কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর আবারও শুরু হয় রক্তচোষা ব্যবসা।

পটুয়াখালী সিভিল সার্জন মো. আবদুল মজিদ সাংবাদিকদের জানান, তিনি কয়েকদিন আগে পটুয়াখালীতে কাজে যোগ দিয়েছেন। রোগী মৃত্যুর ঘটনায় তিনি কলাপাড়ার ক্লিনিকগুলোর ব্যাপারে খোঁজ খবর নেবেন। যদি ওই ক্লিনিকসহ অন্য ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলোর কাগজপত্রে ত্রæটি থাকে তাহলে আইনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।

(ওএস/এসপি/জুন ১৪, ২০১৭)