প্রবীর সাহা, পাবনা  : জমির মালিকদের টাকা পরিশোধ না করে জমিতে ক্যানাল (খনন কাজ) কেটেছে পাবনার বিল গাজনা প্রকল্প কতৃপক্ষ। আবার সেই ক্যানাল লিজ দেয়ার পায়তারা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এসব অভিযোগ করেছে পাবনার সুজানগর উপজেলার তাতিবন্ধ ও ক্রোড়দুলিয়া মৌজার ক্ষতিগ্রস্ত  জমির মালিকরা। এই জমি লিজ দিলে ঐসব এলাকায় কাউকে ঢুকতে দেয়া হবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকরা।
 

অভিযোগকারীরা বলেন- পাবনা সুজানগর উপজেলা তাতিবন্ধ এবং ক্রোড়দুলিয়া মৌজার মোট ৮১ একর জমি তিন নম্বর নোটিশের প্রেক্ষিতে এবং টাকা পরিশোধে প্রতিশ্রুতিতে ২০১৩/১৪ সালে জমি অধিগ্রহন করে বিল গাজনা প্রকল্পর জন্য ক্যানাল কাটে (খনন করে) কতৃপক্ষ। ক্যানাল কাটার পর আজ অবধি টাকা পরিশোধ করেনি সরকার। টাকার জন্য ৪ বৎসর বিভিন্ন অফিসে যোগাযোগ করলে কোন পাত্তা দেয়নি সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ। এরপর এবার ঐ জমি মাছ চাষের জন্য লিজ দেয়ার চেষ্ঠা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তারা আরোও অভিযোগ করেন- বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ২ অসাধূ কর্মকর্তা তাদের বিশেষ সুবিধার জন্য এই জমি বা জলা লিজ দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। অভিযোগ কারীদের অভিযোগের আঙ্গুল আমিনুল ও মোশাররফ নামের দুই কর্মকর্তার দিকে। বর্তমান দামে দ্রুত জমির টাকা পরিশোধের দাবি জানান তারা।

অভিযোগ কারীরা হলেন- সুজানগর উপজেলা ক্রোড় দুলিয়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক, বিনোদ মোল্লা, কামার দুলিয়া গ্রামের আব্দুল হালিম, আব্দুল হামিদসহ বেশ কিছু টাকা না পাওয়া ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক।

এ ব্যাপারে পাবনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম বলেন- ঐ সময় টাকা পরিশোধ না করে কিভাবে জমিতে ক্যানাল কাটা হলো সেটা আমি বলতে পারছিনা। তবে বর্তমানে কিছু আবেদনের প্রেক্ষিতে মাছ চাষের জন্য লিজ দেয়ার জন্য প্রক্রিয়া করলে দেখা যায় জমির মালিকদের টাকা পািরেশোধ করা হয়নি। এ জন্য বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বিষয়টি অবহিত করলে প্রথমে তারা জানায় জমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের পরবর্তিতে তারা আবার জানায় আগের রিপোর্টটি ভুল ছিল জমির টাকা পরিশোধ না করায় জমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের না। এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে যেহেতু জমির মালিক গণ টাকা পায়নি সেহেতু জমি বা জলা লিজ দেয়া হবে না। জমির মালিকগণ টাকা পাইলে লিজ দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

(পিএস/এএস/জুন ১৪, ২০১৭)