তৌহিদ তুহিন, চুয়াডাঙ্গা : পোশাকের বাহারি নাম দিয়ে এবার ঈদে সাধারণ ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন বিক্রেতারা। রমজান মাস প্রায় শেষের দিকে। মার্কেট গুলোতে শেষ মুহূর্তে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। দোকানিরা সকাল থেকে গভির রাত পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করছে। ঈদের দিনকে অনন্দময় করতে বাঙালি মুসলমানদের কোন কমতি নেই। মার্কেট গুলোতে ছেলেদের নতুন মডেলের শাট, প্যান্ট, পানজাবি, টুপি,আতর, জুতা-স্যান্ডলসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাওয়া যাচ্ছে। মেয়েদের জন্য দেশি-বিদেশি শাড়ি, থ্রিপিচ, তরুনিদের পছন্দের জামা ও টাপুর টুপুর সাথে কসমেটিক, গয়না সেট।

সরোজমিনে চুয়াডাঙ্গার সব মার্কেট গুলো ঘুরে দেখা যায় ভিন্ন চিত্র। কারণ কয়েকদিন আগে মার্কেট গুলোতে ক্রেতাদের তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। ফলে সব দোকানিদেরকে অলস সময় পার করতে হয়েছে। এখন দোম ফেলার সময়টুকু ও তাদের হাতে নেয়। কারণ বছরের এই এক মাস সব চেয়ে বেশি বেচা কেনা হয় ঈদের সময়।

চুয়াডাঙ্গা নিউ মার্কেটের হদয় কালেকশনের মালিক আকরাম জানান, পনের রোজার পর থেকে বিক্রয় অনেক বেড়ে গেছে। ছেলেদের পোশাকের মধ্য জিন্স প্যান্ট, ওয়াশ শাট, গেজ্ঞি ও সট পানজাবি বেশি বিক্রয় হচ্ছে।

তিনি জানান, গত বছরের থেকে পোশাকের দাম একটু বাড়তি। তরুণদের আকৃষ্ট করতে দোকানিরা পোশাকের বাহারি নাম দিয়েছেন ।

চুয়াডাঙ্গার ভালাইপুর মার্কটের নিউ আবরণ গার্মেন্টসের মালিক রাশেদ জানান, বাহারি নামে পোশাক বিক্রয় করা হচ্ছে শুধু মাত্র ক্রেতাদেও আকর্ষণ করার জন্য।

চুয়াডাঙ্গা নিউ মার্কেটের খন্দকার শাড়ি হাউজের মালিক খন্দকার মাইনুদ্দিন মোকাদ্দেস জানান, রোজা বাড়ার সথে সাথে বিক্রি অনেক গুন বেশি বেড়েছে। শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে নবরুপা, সিল্ক জামদানিসহ বিভিন্ন ধরনের। তরুনিদের আকর্ষণ ভারতীয় সিরিয়ালের নামের যে জামা গুলো বেশি বিক্রয় হচ্ছে এবার। তাছাড়াও তরুনিরা পোশাকের সাথে মিল করে কিনছেন বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক ও স্যানডেলসহ প্রয়োজনী জিনিস।


(টিটি/এসপি/জুন ১৫, ২০১৭)