স্বাস্থ্য ডেস্ক : ডায়াবেটিক রোগীদের চিনি খাওয়া একেবারেই চলবে না। তাদের কাছে এটা বিষের সমান। কিন্তু চিনির যে বেশ কিছু গুণও আছে, যা এতদিন লোক চক্ষুর আড়ালেই থেকে গেছে।

একথা ঠিক যে চিনির সঙ্গে বেশ কিছু মরণ রোগের সরাসরি যোগ রয়েছে। তবে তাই বলে তার ভাল দিকটা অস্বীকার করা যায় কীভাবে বলুন!

চিনির বেশ কিছু উপকারিতা সম্পর্কে চলুন জেনে নেইঃ-

এনার্জির ঘাটতি দূর করে:

এনার্জির ঘাটতি দূর করে শরীরকে সচল করে তুলতে চিনির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আসলে চিনি খাওয়া মাত্র তা রক্তে মিশে যায় যা সঙ্গে সঙ্গে কোষেরা গ্রহন করে নেয়। কোষেদের শরীরে চিনি প্রবেশ করার সাথে সাথে এনার্জির উৎপাদন শুরু হয়ে যায়।

রক্তচাপ বৃদ্ধি করে:

চিনিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে শর্করা জাতীয় পদার্থ। আর এই শর্করা চোখের পলকে রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে দারুন কাজে আসে। যাদের লো ব্লাড প্রেসার তারা অনেক সময়ই চোখে অন্ধকার দেখেন। এবার থেকে এমনটা হলে অল্প করে চিনি খেয়ে নেবেন। তাহলেই চোখের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।

মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়:

চিনি ছাড়া ব্রেনের পক্ষে এক পাও চলা সম্ভব নয়। কারণ মস্তিষ্কে চিনির সরবরাহ ঠিক মতো না হলে একাধিক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। এক্ষেত্রে প্রথমেই যে সমস্যাটা দেখা দেয়, তা হল বারে বারে কোনও কারণ ছাড়াই অজ্ঞান হয়ে যাওয়া। শুধু তাই নয়, চিনির অভাবে ধীরে ধীরে ব্রেন ফাংশনও কমে যেতে শুরু করে। রক্তে যাতে কোনও সময় শর্করার অভাব দেখা না দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন।

মানসিক চাপ কমায়:

অবসাদের প্রকোপ কমাতে চিনির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে চিনি খাওয়া মাত্র আমাদের শরীরে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যা নিমেষে মনকে খুশি করে দেয়। এবং মানসিক চাপ কমিয়ে দেয়।

সুগার থেরাপি:

চিনিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা অল্প সময়ে যে কোনও ক্ষত সারিয়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ক্ষত সারাতে যে কোনও মেডিসিনের থেকেও বেশি তাড়াতাড়ি কাজ করে চিনি। তাই এবার থেকে কাটা-ছেড়ায় আর ওষুধ না, কাজে লাগান চিনিকে।

(ওএস/এসপি/জুন ১৫, ২০১৭)