কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : দীর্ঘ পাঁচ মাস পর মিয়ানমারে আটক পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লতাচাপলী ইউনিয়নের নয় জেলে বাড়ি ফিরেছে। মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় তারা কলাপাড়ার আলীপুর বন্দরে এসে পৌছলে শতশত মানুষ তাদের দেখতে ভীড় করে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর তাদের কাছে পেয়ে স্বজনরা কান্না জুড়ে দেয়। আনন্দে আপ্লুত হয়ে পড়ে শিববাড়িয়া নদীতে নোঙর করে থাকা ট্রলারের শতশত জেলেরা। এ নয় জেলের ফিরে আসা জেলেদের পূনজন্ম এমনটাই বলছেন উপস্থিত সবাই।

লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনসার উদ্দিন মোল্লা জানান, মিয়ানমারের রাজধানী ইয়াঙ্গুন থেকে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে সোমবার রাত ৯টা ৩৯মিনিটে এই নয় জেলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌছে। সেখান থেকে মঙ্গলবার সকালে কলাপাড়ার আলীপুর এসে পৌছে।

ফিরে আসা জেলেরা হচ্ছেন, কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নে মাইটভাঙ্গা গ্রামের ট্রলার মাঝি আলী হোসেন গাজী (৩৫), জেলে কবির হাওলাদার (৩২), সোবাহান ঘরামী (৪৫), আলমগীর মাতুব্বর (৩৫), নজরুল গাজী (৩২), হাচান হাওলাদার (১৭) এবং মহিপুর ইউনিয়নের সেরাজপুর গ্রামের রুবেল (২৫), জাহিদুল (১৮) ও শামীম (১৬)। এরা সবাই এফবি ফয়সাল ট্রলারের জেলে। তবে এ ট্রলারের এক জেলে কাওসার মুসুল্লী মারা গেছে। তারা লাশ উদ্ধার করে মিয়ানমার পুলিশ সেখানে দাফর করেছে বলে ফিরে আসা জেলেরা জানান।

জানাযায়, গত ১৬ জানুয়ারি এফবি ফয়সাল নামের একটি মাছধরা ট্রলার নিয়ে সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে এই ১০ জেলে নিখোঁজ হয়। ট্রলারটির ইঞ্জিণ বিকল হয়ে সমুদ্রে ভাসতে থাকে। ১৫ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের কোস্টগার্ড এদেরকে আটক করে হেফাজতে নেয়।
লতাচাপলী ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনসার উদ্দিন মোল্লা আরও জানান, মিয়ানমারে আটক হওয়া জেলেদের পক্ষে আইনী প্রক্রিয়ায় সহায়তাকারী মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের হেড অব বাংলাদেশ কনস্যুলেট (অকিয়াব) শাহ আলম খোকনের আবেদনের প্রেক্ষিতে এদেরকে সাধারণ ক্ষমা করে মিয়ানমার সরকার। এরপর ওইসব পরিবারের পক্ষ থেকে প্রত্যেকের জন্য বিমান ভাড়া বাবদ ১৫ হাজার ৫শ’ টাকা করে জমা দিতে হয়েছে। এভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা চূড়ান্ত করা হয়।

(এমকেআর/এএস/জুন ১৫, ২০১৭)