স্টাফ রিপোর্টার : উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বোর্ড গঠনের বিধান রেখে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা আইন-২০১৪-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভা শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সমাজের মূল ধারার শিক্ষা থেকে পিছিয়ে থাকা মানুষের জন্য এ উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে সরকার। এ জন্যই সরকার ইতিমধ্যে উপানুষ্ঠানিক ব্যুরো গঠন করেছে। এ প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার প্রশাসনিক ও গুণগত মান দেখছে। পাশাপাশি এ শিক্ষা কার্যক্রমের একামেডিক দিক দেখার জন্যই এ বোর্ড গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ বোর্ডের চেয়ারম্যান হবেন ব্যুরোর চেয়ারম্যান।

এ আইনে শাস্তির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ আইন প্রয়োগে বাধা দিলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের জেল এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানারও বিধান রাখা হয়েছে। বোর্ড পরিচালনার জন্য সরকার বিধিবিধান করতে পারবে।

তিনি আরো জানান, এই খসড়াটি অনুমোদনের জন্য ২০১৩ সালের ৬ মার্চ মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হলেও পর্যালোচনা করে পুনরায় তা মন্ত্রিসভায় উত্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। এরই ধারবাহিকতায় চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপন করা হলেও কিছু অনুসাশন দিয়ে পুনরায় ফেরত পাঠানো হয়েছিল।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি ঝরে পড়া শিক্ষার্থী এবং বয়স্কদের জন্য একটি স্থায়ী কাঠামো দিতে এই আইন করা হচ্ছে। শিক্ষা কারিকুলাম তৈরি, সার্টিফিকেট দেওয়াসহ অন্যান্য বিষয় দেখার জন্য বিভিন্ন কমিটি গঠন করা হবে।

তিনি আরো বলেন, বৈঠকে বাংলাদেশ ও কুয়েত সরকার নিজ নিজ দেশে সেনা জাদুঘরে জায়গা বরাদ্দ ও পারস্পরিক সহযোগীতা বৃদ্ধিবিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৮টি দেশের মধ্যে বিমান চলাচল বিষয়ে চুক্তি করার বিষয়টিও অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

তিনি বলেন, এ সময় ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের উদ্যোগ ও কার্যক্রমের জন্য ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের দেওয়া পুরস্কার প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী।

(ওএস/এটিঅার/জুন ২৩, ২০১৪)