বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার চিলা ইউনিয়নের দুই সদস্যের বিরুদ্ধে হতদরিদ্রদের ৪০ দিনের কর্মসূচীর টাকা আত্মসাৎতের অভিযোগ উঠেছে। নিজ পরিবারের সদস্যদের নাম ব্যবহার করে কয়েক দফায় এই দুই ইউপি সদস্য কর্মসূচীর টাকা আত্মসাৎ করার বিষয়টি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রবিউল ইসলামকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিলা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান হালিম হাওলাদার।

চিলা ইউপি’র প্যানেল চেয়ারম্যান হালিম হাওলাদার জানান, ইউনিয়নের হত দরিদ্রদের ৪০ দিনের কর্মসূচীর তালিকায় উপজেলার চিলা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বর) এনামুল কবির তার আপন ভাই খোকন শেখ, দুলাল শেখ ও বোনাই কুদ্দুস শেখের এবং ৪, ৫ ও ৬ নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বর) জাহানার বেগম তার মা হাসিনা বেগম, আপন ভাই রফিকুল ইসলাম ও তার মটর সাইকেল ড্রাইভার কবির শেখের নাম দেয়। কিন্তু দুই মেম্বরের এ সকল আত্মীয়-স্বজনদের দিয়ে কর্মসূচীর কাজ না করিয়ে হাজিরা দেখিয়ে কয়েক দফায় টাকা উত্তোলন করে তা আত্মসাৎ করেছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দুপুরে মেম্বর এনামুল কবির ও জাহানারা বেগম তাদের এ ৬ জনের নামে টাকা উত্তোলন করতে গেলে তাতে বাধা প্রদান করেন প্যানেল চেয়ারম্যান হালিম হাওলাদার।

হালিম হাওলাদার বলেন, ৪০ দিনের কর্মসূচীর কাজে মেম্বর এনামুল ও জাহানারা তাদের আত্মীয়-স্বজনের নাম দিয়ে কাজ না করিয়ে বেআইনিভাবে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে আসছিল। বৃহস্পতিবার তারা আবারো টাকা তুলতে আসলে আমি তাতে বাধা এবং টাকা আটকে দিই। তিনি আরো বলেন, টাকা আটকে দেয়ায় ওই দুই মেম্বর আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে নানাভাবে ক্ষতি সাধনসহ হয়রানীর হুমকি-ধামকি দিচ্ছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মেম্বর এনামুল কবির বলেন, আমার ভাই ও বোনাইয়ে নামে কোন বিল হয়নি এবং তাদের নামে আমি কোন টাকা উত্তোলন করিনি। জাহানার বেগম বলেন, আমি আমার মা, ভাই ও ড্রাইভারের নামে আগে এবং পরে কোন সময়ই কারো নামে বিল উঠাই নি। উত্থাপিত এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে তিনি দাবী করেন। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রবিউল ইসলাম বলেন, অভিযোগটি এখনও আমি হাতে পাইনি। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(একে/এএস/জুন ১৬, ২০১৭)