স্টাফ রিপোর্টার : কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে কষ্ট করে বাজারে এসেছেন কিছুসংখ্যক ক্রেতা। কিন্তু বিক্রেতারা সবজি থেকে শুরু করে মাছ-মাংসের দাম হাঁকছেন অনেকটা বাড়িয়ে। সোমবার রাজধানী ও এর আশপাশের কয়েকটি বাজারে এমনটাই দেখা যায়।

সূত্রাপুর, যাত্রাবাড়ী ও কাঁচপুর কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, হাঁটুসমান পানিতে তলিয়ে গেছে বাজার। এর মধ্যে বিক্রেতারা হালিপ্রতি ইলিশের দাম হাঁকিয়েছে ২ হাজার ৪০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকা, যা শুক্রবারও বিক্রি হয়েছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকায়।

ঢাকার অদূরে কাঁচপুর শিল্পাঞ্চল বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি হালি কাঁচকলা ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, শুক্রবার যা বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ২২ টাকায়। দেশি পেঁয়াজ কেজিতে তিন টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকায় আর ভারতীয় পেঁয়াজ তিন টাকা বেড়ে ৩৫ টাকায়।

সূত্রাপুর বাজারে আঁটি লাল শাক ১০ টাকা থেকে বেড়ে ১৫ টাকায়, পুঁইশাক ১৫ টাকা থেকে বেড়ে ২০ টাকায়, পাট ও ডাঁটা শাক ১০ থেকে বেড়ে ১৫ টাকায়, পালং ও কলমি শাক ১৫ থেকে বেড়ে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দাম বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, টানা চার দিন বৃষ্টির কারণে সবজির সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। অন্যদিকে বৃষ্টিতে শাক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। সকালে শাক কিনে আনলে তা সন্ধ্যা পর্যন্ত রাখা যাচ্ছে না। তাই পাইকারিতেই এর দর বেড়েছে।

মাছ ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম বলেন, সাগর উত্তাল থাকায় জেলেরা জাল ফেলতে পারছেন না। পাইকারি বাজারে ইলিশের সরবরাহ অনেক কমে গেছে। আগে ৫০ ঝুড়ি আসলে এখন আসছে ১০ ঝুড়ি। এর ফলে পাইকারি বাজারে দর বেড়েছে।

অধিকাংশ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম চড়া থাকায় আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সামঞ্জস্য রাখতে পারছেন না নিম্ন আয়ের মানুষ। তাই বাধ্য হয়ে বাজার তালিকায় কাটছাঁট করতে হচ্ছে বলে জানান যাত্রাবাড়ী কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা জসিম উদ্দিন।

সূত্রাপুর কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা মো. লতিফ মিয়া বলেন, ব্যবসায়ীরা একটা অজুহাত দিচ্ছেন। কারণে-অকারণে দাম বাড়িয়ে লাভবান হচ্ছেন তারা। সুষ্ঠু বাজার-ব্যবস্থাপনা না থাকায় ব্যবসায়ীরা এমনটা করার সাহস পান।

নিত্যপণ্যের বাজারে বেচা-কেনায় ধীরগতি লক্ষ করা গেছে। ভোজ্য তেল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী বেপারী বলেন, রমজানের আগে অন্য সময় থেকে একটু বেশি বিক্রি হয়। কিন্তু টানা বৃষ্টিতে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ক্রেতারা বাজারে আসছেন না।