সঞ্জিব দাস, গলাচিপা, পটুয়াখালী : ঈদ-উল ফিতরকে সামনে রেখে গলাচিপা সদরে বিভিন্ন রকমের দর্জি দোকান গুলোতো নতুন পোশাক তৈরীর ধুম পড়েছে। এর ফলে ব্যস্ততা বেড়ে চলেছে দর্জির দোকান গুলোতে। প্রতিটি দর্জি দোকানের কারিগড়দের এখন নিঘুম রাত কাটছে। রাত জেগে তৈরি করছে নিত্যনতুন ডিজাইনের জামা-কাপড়।

গলাচিপা উপজেলার সদর রোড বিভিন্ন মার্কেটের দর্জি দোকান গুলো ঘুড়ে দেখা যায়, প্রতিটি দর্জি কারিগড়রা ব্যস্ত সময় পার করছে। ঈদের প্রচুর কাজ জমে আছে দোকান গুলোতে। তাই কথা বলার সময়ও নেই তাদের।

বাবুল টেইলার্স এর কাটার মাস্টারও বাবু পরিতোষ রায বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার রোজার প্রথম থেকেই অর্ডারের শুরুত্ব রয়েছে। এছাড়াও দশ রোজার পর থেকে অনেকটা বেশি অর্ডার আসছে। দোকানের সবাই এখন অনেক ব্যস্ত। এবারে থ্রি-পিচ, পাজু, চুড়িদার ও শেরওয়ানী নামের পোশাক তৈরি হচ্ছে বেশি।

বাবু সকা ট্রেইর্লাসের কাটিং মাস্টার মো.বাচ্চু বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা অর্ডার নিচ্ছি। ২৫ রোজা পর থেকে আমরা অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দেব। ইতোমধ্যে অনেকেই অর্ডার নেয়া বন্ধকরে দেয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

গলাচিপা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেনীর ছাত্রী মোসা. তানিয়া আক্তার জানান, ঈদে সবাই নানা ডিজাইনের পোশাক সেলাই করলেও আমার পছন্দ নরমাল থ্রি-পিচ। তবে এটা পরেই আমি স্বস্তি অনুভব করি।

এদিকে গলাচিপা মহিলা ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী মোসা. কলি বেগম বলেন, এবার ঈদে পাজু ড্রেস সেলাই করতে দিয়েছি। যদিও সেলাইয়ের দামটা একটু বেশি। তারপরও ঈদ উপলক্ষে পছন্দের পোশাক দামি না হলেও চলে না। অনেক তরুনীরা জানিয়েছেন ঈদ উপলক্ষে পোশাক সেলাইয়ের দাম অনেকটা বেশি রাখা হচ্ছে।

গলাচিপা উপজেলার বিভিন্ন দর্জি মালিকদের কাছে অতিরিক্ত মজুরি নেয়ার বিষয় জানতে চাইলে তারা এ প্রতিবেদকে জানান, ঈদ উপলক্ষে কারিগড়দের বেতনের পাশাপাশি বোনাস ও দিতে হয় তাই একটু বেশিই মজুরি নেয়া হচ্ছে। তবে তা অতিরিক্ত বলে মনে করছেনা তরুন-তরুনীর ।

(এসডি/এসপি/জুন ১৭, ২০১৭)