ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে গত এক বছরে প্রায় শতাধিক বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটেছে। সাধারণত সীমান্তবর্তী উপজেলা এবং দরিদ্র মানুষের অজ্ঞতার জন্য এ ধরনের কাজ বেশি হচ্ছে।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, এ উপজেলায় বিগত ১ বছরে শতাধিক বাল্যবিয়ে সংঘঠিত হয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, বেগমপুর গ্রামের শরিফুলের মেয়ে শরিফা খাতুন (১৩), একতারপুর গ্রামের সালমান শেখের মেয়ে শাকিলা (১৪), রাখাল ভোগা গ্রামের আবু কালামের মেয়ে কনা (১৩), কেশচন্দ্রপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে সুমি খাতুন (১৬), মতিলালপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মিন্টু, ভাবদিয়া গ্রামের জহুরুলের মেয়ে শিলা (১৩), বেগমপুর গ্রামের শাহজ্জান আলী দুঃখুর মেয়ে চামিলা(১৩), কুলতলা গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে খালেদা(১৫)।

গোপালপুর গ্রামের রমজানের মেয়ে লাখী (১৬), ভালাইপুর গ্রামের শাহাজান খানের মেয়ে শাহানাজ (১৬), মালাধরপুর গ্রামের আসলামের মেয়ে রিমকি (১৪), যুগিহুদা গ্রামের শহিদের মেয়ে সাহিদা (১৩), নেপা গ্রামের বিষু মিয়ার ছেলে জুয়েল রানা (১৫), বাথানগাছী গ্রামের শরিফুলের মেয়ে তাজমা খাতুন (১৪), পুরন্দপুর গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে তানজিলা (১৪), একই গ্রামের আব্দুল গনির মেয়ে নাজমা খাতুন (১৩)।

আদমপুর গ্রামের কলোনীপাড়ার লতিফের মেয়ে আসমা (১৩) ধান্যহাড়িয়া গ্রামের মঞ্জু রহমানের মেয়ে আসমা খাতুন(১৪), বলিভদ্রপুর গ্রামের খোরশেদ আলীর মেয়ে রুপা খাতুন(১২), কানাডাঙ্গা গ্রামের রেজাউলের ছেলে আশাফুল (১৮), একই গ্রামের জুম্মাতের ছেলে রবিউল (১৭), মিলনের মেয়ে রুমা (১৩), পলিয়ানপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে উম আলী (১৮), ফতেপুর গ্রামের সিরাজের ছেলে মিজান (১৮), একই গ্রামের পরান শেখের ছেলে মনি (১৮), নিমতলা গ্রামের আলা উদ্দিনের ছেলে শুকুর আলী (১৮), একই গ্রামের মহি উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রব (১৮), ফতেপুর গ্রামের মিঠু মন্ডুলের মেয়ে সুমি খাতুন (১৪)।

বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা আরডিসির ইউনিয়ন ফ্যাসিলিটেটর মো. নজরুল ইসলাম জানান, তাদের সংস্থার হটলাইনের মাধ্যমে বাল্যবিয়ের যে সমস্ত সংবাদ তারা পান তা রেজিস্ট্রারভূক্ত করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে তারা প্রতিটি ইউনিয়নে অ্যাডভোকেসী সভা করছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মেম্বারদের মাধ্যমে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশাফুর রহমানের প্রচেষ্টায় বেশ কিছু বাল্যবিয়েতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জেল-জরিমানাও করা হয়েছে।

(ওএস/এসপি/জুন ১৯, ২০১৭)