সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ৫টি সরকারি পুকুরের লীজ নবায়নে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পুকুরগুলো নিমগাছী সমাজ ভিত্তিক মৎস্যচাষ প্রকল্প ২০১১ নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত।

এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

লিখিত অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলার বারুহাস ইউনিয়নের পেঙ্গুয়ারী গ্রামের পাড়িল, পশ্চিম আনঘরিয়া, ছোট পওতা, বড় পওতা ও বেনারদীঘি পুকুরের সম্প্রতি লীজ নবায়ন করা হয়েছে। যার আয়তন ৩৮ বিঘা। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই পুকুরগুলো লীজ নবায়নের সময় সরকারি নিয়ম-নীতি মানা হয়নি। পুকুরগুলো নিমগাছী সমাজ ভিত্তিক মৎস্যচাষ প্রকল্প/২০১১ নীতিমালার অন্তর্ভুক্ত। ২০১১ সাল থেকে ওই গ্রামের সুফলভোগী সদস্যরা সরকারি ও নিমগাছী সমাজ ভিত্তিক মৎস্যচাষ প্রকল্প/২০১১ নীতিমালা অনুযায়ী লীজ নিয়ে মাছ চাষ করে আসছিল।

সেখানে সদস্য সংখ্যা ছিল ১০৫ জন। তাদের মধ্যে ছিল একতা ও শন্তি শৃঙ্খলা। ছিল না কোন বিরোধ ও বিতর্ক। সম্প্রতি ওই পুকুরগুলো আবারও ১ বছরের জন্য নবায়ন করা হয়েছে। নবায়নের সময় আরও ৭৮ জন সদস্যকে সংযুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রভাবশালী, ভুয়া জমিদার, ভূমি দস্যু, জালিয়াত, পুকুর পাড়ের বাসিন্দা নয় ও বিতর্কিত ব্যক্তিও রয়েছে। যা সরকারি নিয়ম-নীতি বহির্ভুত। এমন কি সরকারি ওই পুকুরগুলোর মালিকানা দাবি করে আদালতে মামলা দিয়ে সরকারি লোকজন ও সুফলভোগী সদস্যদেরকে হয়রানি করছে এ ধরনের ব্যক্তিকেও নতুন সদস্যভুক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কারো কারো সাথে দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে আদালতে মামলা চলছে সরকারের সাথে ওই পুকুরগুলোর মালিকানা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে।

ইতোপূর্বে ওই পুকুরগুলোর দখল নিয়ে গ্রামবাসীর সাথে ভূমি দস্যুদের মধ্যে ব্যাপক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও মামলা হয়েছে। সে সময় গ্রামবাসীরা ছিল সরকারের পক্ষে এবং ভূমি দস্যুদের হামলা ও মামলার শিকারও হয়েছে তারা। বর্তমানে পেঙ্গুয়ারী গ্রামের ওই পুকুরগুলো নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে এলাকায়। এ ঘটনাগুলোর প্রতিকার চেয়ে গত ১৬ জুন পেঙ্গুয়ারী গ্রামের বাসিন্দা ও পেঙ্গুয়ারী সুফলভোগী মৎস্যজীবি সমিতির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ জনস্বার্থে সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

(এসএস/জেএ/জুন ২৪, ২০১৪)