স্টাফ রিপোর্টার : মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর। ঈদের আনন্দকে প্রাণবন্ত করে ঈদ সেলামি। আর সেলামি হিসেবে যদি নতুন চকচকে টাকা দেয়া হলে ছোটদের ঈদের আনন্দ বেড়ে যায় আরও কয়েকগুণ। এমন আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ব্যাংকে ব্যাংকে নতুন টাকা সংগ্রহের হিড়িক পড়েছে। দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও নতুন টাকার নোট সংগ্রহ করছেন গ্রাহকরা।

বৃহস্পতিবার (২২ জুন) ঈদের আগে ব্যাংকের শেষ কার্যদিবসে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ রাজধানীর বিভিন্ন ব্যাংকের গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। অনেকে আবার স্বাভাবিক লেনদেনের পাশাপাশি প্রয়োজন মতো নতুন টাকার নোট চেয়ে নিচ্ছেন।

তেমনি বাংলাদেশ ব্যাংকে নতুন নোট নিতে এসেছেন সোহাগ নামের একজন গ্রাহক। তিনি বলেন, ঈদে বাড়ি যাব। পরিবারের অনেক ছোট সদস্য আছে যাদের ঈদ সেলামি দিতে হবে। নতুন টাকা ছাড়া ঈদ সালামি দেয়া য়ায়? তাই লাইনে দাঁড়িয়েছি।

তিনি আরও বলেন, বাহিরে নতুন নোট নিতে গেলে বাড়তি টাকা দিতে হয়। তাই বাংলাদেশ ব্যাংকে নোট নিতে এসেছি। সকাল সাড়ে ১০টায় এসে দাঁড়িয়েছি, এখন ১২টা বাজে। দেড় ঘণ্টা দাঁড়িয়েও এখনো টাকা পাইনি।

নতুন টাকার নোটের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন মো. হাসিব। তিনি বলেন, আঙুলের ছাপ নিয়ে নতুন টাকা দেবে তাই দাঁড়িয়ে আছি। সিস্টেমটা ভালো হলেও সময় অনেক বেশি লাগছে। সাড়ে ১১টা এসেছি, এখন ১২টা বাজে। আরও কয়েকটা বুথ থাকলে সময় কম লাগত।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডেপুটি ডিরেক্টর আবদুল আজিজ জানান, ঈদের আগে আজ (বৃহস্পতিবার) ব্যাংকের শেষদিন, তাই গ্রাহকদের উপস্থিতি বেশি। সকাল থেকে সুষ্ঠুভাবে নতুন টাকা বিনিময় চলছে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে টাকা দেয়ার কারণে সবাই সমান হরে টাকা নিতে পারছেন।

তিনি আরও বলেন, আড়াইটা পর্যন্ত বিনিময়ের কথা থাকলেও গতকাল বিকেল ৪টা পর্যন্ত নতুন নোট দিয়েছি। আজ শেষদিনও গ্রাহক যতক্ষণ পর্যন্ত থাকবে টাকা বিনিময় চলবে।

মতিঝিল সোনালী ব্যাংকের লোকাল অফিসের জেনারেল ম্যানেজার মো. ওসাশি উর রহমান বলেন, আমাদের অনেক গ্রাহক আছে যারা নতুন নোট চাচ্ছেন। এবার চাহিদা অনুযায়ী বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন নোট দিয়েছে। আমরাও গ্রাহকদের নতুন নোট দিচ্ছি।

ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গত ৮ জুন (বৃহস্পতিবার) থেকে নতুন টাকা বিনিময় শুরু হয়। যা আজকের ব্যাংক কার্যক্রম পর্যন্ত চলবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সব শাখা অফিস এবং রাজধানীর বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে এ নতুন নোট বিনিময় করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানা গেছে, একজন গ্রাহক ৮ হাজার ৭০০ টাকার নতুন নোট নিতে পারবেন। প্রত্যেকে ২ থেকে ৫০ টাকা মূল্যমানের একটি করে প্যাকেট (১০০ পিস করে) নিতে পারবেন। তবে ১, ২ ও ৫ টাকার কয়েন নেয়া যাবে ইচ্ছেমতো।

(ওএস/এসপি/জুন ২২, ২০১৭)