স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ ব্যাংক ধারণা করছে আসছে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে আগামী এক মাসে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার ওপরে অতিরিক্ত নোটের চাহিদা তৈরি হবে। বিপুল এ চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ ঠিক রাখতে ২০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকে বর্তমানে মজুদ আছে ৯ হাজার কোটি টাকার ওপরে। আর নতুন নোট ছাপানো হচ্ছে ১০ হাজার ৩৬৬ কোটি টাকা। আর বাকি মুদ্রার চাহিদা কয়েনের মাধ্যমে মেটানো হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মো. সাইফুল ইসলাম খান বলেন, গ্রাহকের সুবিধার্থে প্রতিবছরের মতো এবারো নতুন নোট ছাড়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এবার গ্রাহকের চাহিদার ভিত্তিতে ২০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট বাজারে ছাড়া হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, মুদ্রানীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবারো পুরনো নোটই নতুন করে ইস্যু করা হচ্ছে। সব পুরনো নোট নতুন করে ইস্যু করায় বাজারে অর্থ সরবরাহ বাড়বে না। তাই নতুন এ টাকা মূল্যস্ফীতির ক্ষেত্রেও কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে না।

নতুন নোট নিয়ে দালালরা যাতে ব্যবসা করতে না পারে সে লক্ষ্যে কড়া সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থার অংশ হিসেবে একজন গ্রাহক যেন একবারের বেশি নতুন টাকা নিতে না পারে সেজন্য ভোটারদের মতো হাতে কালি দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নতুন টাকা বিতরণ করা থেকে বিরত রাখা হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, ১৫ রমজানের আগে পর্যন্ত একজন গ্রাহক একবারে সর্বোচ্চ সাড়ে চার হাজার টাকা এবং ১৫ রমজানের পর থেকে একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত নিতে পারবেন।

নতুন নোট ছাপানো শেষে বিভিন্ন শাখা অফিসে পাঠানো হবে, যা রমজান মাসজুড়েই চলবে। এবার প্রথমবারের মতো রাজধানীর বাইরে জেলা শহরের বেশ কয়েকটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমেও নতুন টাকা বিতরণ করা হবে। চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেটে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৫টি শাখায়, বগুড়া, রাজশাহী, রংপুর ও বরিশালের বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৪টি শাখায় নতুন টাকা দেয়া হবে।

ঢাকার বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান প্রধান ২০টি শাখায় নতুন টাকা দেয়া হবে। এ ছাড়া গ্রাহকের সুবিধার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও সব শাখা অফিসে খোলা হবে বিশেষ কাউন্টার।

(ওএস/জেএ/জুন ২৪, ২০১৪)