চাঁদপুর প্রতিনিধি : চাঁদপুরে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি এলাকায় শুক্রবার বিকেলে পুলিশ মোটরসাইকেলে তল্লাশি কার্যক্রম শুরু করে। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বড় স্টেশন থেকে শহরে ফেরার সময় পথিমধ্যে পুলিশ মোটরসাইকেল থামালে বাকবিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা একজোট হলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ জড়িয়ে পড়ে। এ সময় পুলিশ ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। জবাবে ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে।

সংঘর্ষ চলাকালে শহরের প্রাণকেন্দ্র কালীবাড়ি এলাকায় চারটি সড়কে দেড়ঘণ্টা যানবাহন চলাচল এবং দোকানপাট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সবুর মন্ডল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। সংঘর্ষের ঘটনায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানান জেলা প্রশাসক। এই ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছে আহত ছাত্রলীগ-যুবলীগ কর্মীরা।

চাঁদপুরের পুলিশ সুপার শামসুন্নাহার পিপিএম জানান, পুলিশের কাজে বাধাদান ও সংঘর্ষের ঘটনাটি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ছাত্রলীগের চাঁদপুর জেলা শাখার সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম নোমান জানান, বড় স্টেশনে একটি অনুষ্ঠান শেষে বাসায় যাওয়ার পথে পুলিশ তাদের মোটরসাইকেল গতি রোধ করে। এক পর্যায়ে পুলিশ তাকে ধাক্কা দিলে শহরে এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

ছাত্রলীগ নেতা জাফর ইকবাল মুন্না জানান, পুলিশ অহেতুক ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদুল ইসলাম নোমানসহ অন্যান্য কর্মীদের লাঞ্ছিত করে। এর প্রতিবাদে শহরে ছাত্রলীগসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের কর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের নামে ছাত্রলীগের কর্মীদেরকে জামায়াত-শিবির ও বিএনপি কর্মীদের মতো গুলি ছোড়ে। এ কর্মকাণ্ডের জন্য পুলিশ সুপারের পদত্যাগ দাবি করেছেন ছাত্রলীগ নেতারা।

(ওএস/এএস/জুন ২৩, ২০১৭)