নীলকন্ঠ আইচ মজুমদার, ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) : ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। রমাজান শেষ পর্যায়ে তাই সবাই সামর্থ্য অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কেনাকাটা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঈশ্বরগঞ্জে রাস্তার দুপার্শ্বে বাজার হওয়ায় সারাদিনই রাস্তায় ছোট ছোট যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সকল শ্রেণি পেশার মানুষই তাদের সাধ্যমতো পণ্য ক্রয় করার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের দোকানে ভীড় লক্ষণীয়। কসমেটিক্স, কাপড় ও জুতার দোকানে ক্রেতার সমাগম বেশি।

ঈদের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে বিক্রেতারা ততই বাহারি আইটেম দিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছে। ঈদ নিকটে তাই মার্কেট গুলোতে শেষ মুহূর্তের বিক্রয়ের জন্য বিক্রেতারা সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মার্কেটগুলো খোলা রাখছে। কাপড় ও জুতার দোকান গুলোতে দেশি পণ্যের পাশাপাশি বিদেশি পণ্যগুলোও চলছে সমানতালে।

ঈশ্বরগঞ্জ থেকে ময়মনসিংহ শহর কাছে হওয়ায় ধনী শ্রেণির ক্রেতারা চলে যাচ্ছে ময়মনসিংহ শহরে। অন্যদিকে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ভুক্ত শ্রেণির মানুষের ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে ঈশ্বরগঞ্জ বাজার। বিশেষ করে পুরাতন কাপড় মহালে নিন্ম আয়ভুক্ত ক্রেতার সমাগম লক্ষণীয়। দর্জির দোকানগুলোতে চলছে দর্জিদের ব্যস্ততা।

এছাড়াও মারফত চেয়ারম্যান কমপ্লেক্স, মুক্তিযোদ্ধ মার্কেট, ফিরোজা শপিং সেন্টার, দেলোয়ারা শপিং সেন্টার জব্বার ভ‚ইয়া মার্কেটে ক্রেতা সমাগমে জমজমাট হয়ে উঠছে। রকমারি টুপি ও আতরের দোকান লক্ষ্য করা যাচ্ছে রাস্তার উপর। তবে এখন বর্ষাকাল হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে সৃষ্টি হচ্ছে কাঁদার যার ফলে মহিলা ও শিশুদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এছাড়া ক্রেতা ও বিক্রেতারা বাজারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোড়দার করার দাবি জানাচ্ছে প্রশাসনের কাছে।

ঈদ বাজারের কেনাকাটা সম্পর্কে ক্রেতা ফারিয়া আক্তার জানান, দোকানগুলোতে কালেকশনের পরিমান বেশি হলেও দাম অন্যান্য সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।

করুনা স্টোরের স্বত্ত্বাধিকারি রতন ভৌমিক বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার ক্রেতার সমাগম কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

নিরাপত্তার বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বদরুল আলম খান জানান, মার্কেটে প্রয়োজনীয় পুলিশসহ কমিউনিটি পুলিশের সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

(এনআইএম/এসপি/জুন ২৪, ২০১৭)