বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়া জেলার গাবতলী থানার ছোট ইটালী গ্রামে রাস্তা নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় আল-আমিন (১৪) নামে এক স্কুলছাত্র নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে ইটালী গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়। আহতদের বগুড়ার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শনিবার সকালে ওই হাসপাতালে মারা যায় আল-আমিন।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা শনিবার সকালে গাবতলী থানায় ২২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহারে নাম উল্লেখিত আসামিদের মধ্যে ছয় আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতাররা হলেন ছোট ইটালী গ্রামের মৃত মাহমুদ আলীর ছেলে বাবলু প্রামাণিক (৪২), মৃত মনসুর আলীর ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (৪০), বাদল মিয়ার ছেলে শামীম হোসেন (২০), আবদুল খালেকের ছেলে ফারুক হোসেন (৩০), মাদারী মোল্লার ছেলে ইয়াকুব আলী (৫৫) ও হবিবর রহমানের ছেলে আবদুল মান্নান (৪০)।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, গাবতলী উপজেলার নশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইটালী মধ্যপাড়া গ্রামের খলিলুর রহমান জায়গা না ছেড়ে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করেন। এতে রাস্তা ছোট হয়ে যাওয়ায় গ্রামবাসীর চলাচলে সমস্যা হয়।

শুক্রবার বিকেলে রাস্তা ছোট করে সীমানা নির্মাণে বাধা দিলে খলিলুর রহমান, হবিবর রহমান ও আবদুল কুদ্দুস মাস্টারসহ কয়েকজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়।

একপর্যায়ে খলিলুর রহমান ও হবিবর রহমানের লোকজন কুদ্দুস মাস্টারকে আটকে রাখেন। তাকে উদ্ধারে স্বজনরা ছুটে আসেন। তখন দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

এ সময় লাঠিসোটার আঘাতে আমজাদ হোসেনের ছেলে বাগবাড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র আল-আমিন, আমিনুর ইসলাম ও অপর পক্ষের বাবলু এবং ফটিকসহ ছয়জন আহত হয়।

গাবতলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার জানান, রাস্তা নিয়ে বিরোধে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক স্কুলছাত্র নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ ব্যাপারে নিহতের বাবা আমজাদ হোসেন থানায় ২২ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। শনিবার দুপুর পর্যন্ত ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।

(ওএস/এএস/জুলাই ০১, ২০১৭)