বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোল্লাহাটে রাশেদা খানম (৩০) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে মোল্লাহাট উপজেলার গাড়ফা গ্রামের একটি ভাড়া বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। রাশেদা খানম বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার হিজলা গ্রামের শামসু শেখের মেয়ে।

গত ২৭ জুন থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। স্বামী সোহেল আহম্মেদের সঙ্গে চার বছর আগে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় রাশেদার। সোহেলের বাড়ি রাজবাড়ি জেলার ধুমছি গ্রামে। ময়নাতদন্তের জন্য রাশেদার মরদেহ বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মোল্লাহাট থানার ওসি আ স ম খায়রুল আনাম বলেন, গাড়ফা গ্রামের জনৈক খন্দকার রেজাউল ইসলামের বাড়ির ভাড়া দেওয়া একটি ঘরের তালা বদ্ধ কক্ষ থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। বিষয়টি সন্দেহ জনক মনে হওয়ায় প্রতিবেশিরা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে তালা ভেঙে ঘরের ভেতরে কাঁথা মোড়ানো অবস্থায় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। ‘নিহতের বড় ছেলে রাসেল তার পরিচয় সনাক্ত করেছে। প্রাথমিকভাবে এটিকে হত্যা বলে মনে হচ্ছে।’

ওসি বলেন, রাশেদা খানম ফেরি করে শাড়ি-কাপড় বিক্রি করতেন। মোল্লাহাটের গাড়ফা গ্রামে যে ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেই ঘরটি ছাড়াও পার্শবর্তি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে তার একটি ভাড়া বাসা আছে। দুই ছেলেকে নিয়ে বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ওই বাড়িতে থাকতেন তিনি।

নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে ওসি আরও বলেন, ঈদের পরদিন ২৭ জুন বিকালে বাজারে যাবার কথা বলে টুঙ্গিপাড়ার বাঁশবাড়িয়া গ্রামের ভাড়া করা বাড়ি থেকে বের হন রাশেদা। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। তবে নিখোঁজের বিষয়ে কোন জিডি হয়নি।

রাশেদার পরিবারের দাবী বাশবাড়িয়া এলাকার ইউপি সদস্য রফিকের সাথে তাদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। রাশেদাকে কয়েক বার নাকি প্রাননাশের হুমকি দিয়ে আসছিল রফিক। তারা এই হত্যাকান্ডের তদন্ত পূর্বক দোষিদের সনাক্ত করে বিচার দাবী জানান।

(একে/এএস/জুলাই ০১, ২০১৭)