নীলফামারী প্রতিনিধি : নীলফামারীর ডোমার ও জলঢাকা উপজেলায় দুই গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বামীর বাড়িতে ফিরে এসেই লাশ হতে হলো নববধু সালমা আক্তারকে (১৯)। নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার গোলনা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তালুক গোলনা রথ বাজার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার সকালে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে দুপুরে জেলার মর্গে ময়না তদন্ত করছে। এ ঘটনার পর সালমার স্বামী সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন গা-ঢাকা দিয়েছে। ফলে এটি পরিকল্পিত হত্যা না আত্মহত্যা এ নিয়ে রহস্য সৃস্টি করেছে।

জানা যায়, গত চারমাস পূর্বে গোলনা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চিড়া ভিজা গোলনা নদীর পাড় গ্রামের ছানারুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে সালমা আক্তারের সাথে তার আপন খালাত ভাই একই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তালুক গোলনা রথের বাজার গ্রামের হামিদার রহমানের ছেলে আজহারুল ইসলামের (২৫) পারিবারিক আলোচনায় মতাবেক বিয়ে হয়। বিয়ের পর পরেই পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হলে সালমা বাবার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। কলহ মেটাতে স্থানীয় ভাবে কয়েক দফায় শালিসও হয়। শালিসের মাধ্যমে কলহ নিরসন করা হলে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে সালমাকে তার স্বামী তাদের বাড়িতে নিয়ে আসে। স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসার একটি দিন পার হতে না হতেই গতকাল শুক্রবার রাতে স্বামীর বাড়ির বসতঘরে সামলার দেহটি ঘরের মেঝেতে পা ঠেকানো গলায় ফাঁস লাগালো অবস্থায় ঝুলতে দেখা যায়। গ্রামবাসী এ সময় ছুটে এলে সালমার শ্বশুড় বাড়ির সকলে পালিয়ে যায়।

জলঢাকা থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একটি ইউডি মামলা করা হয়।

অপরদিকে পারিবারিক কলহে জয়ন্তি বালা (৪০) নামের এক গৃহবধু গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শনিবার দুপুর ঘটনাটি ঘটে নীলফামারীর ডোমার উপজেলার হরিণচড়া ইউনিয়নের হংসরাজ গ্রামে। ওই গৃহবধু উক্ত গ্রামের গনেশ চন্দ্র রায়ের প্রথম স্ত্রী। সে স্বামীর বাড়ির বসতঘরের ভেতর আত্মহত্যা করে।

হরিণচড়া ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলাম জানান গনেশে দুই স্ত্রী। দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ায় প্রথম স্ত্রী গলায় দড়ি দেয় বলে ধারনা করা হচ্ছে।

ডোমার থানার ওসি মকছেদ আলী জানান, এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

(এমআইএস/এএস/জুলাই ০১, ২০১৭)