নিউজ ডেস্ক : ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগের সাইটগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীরা দৈনিক ছয় ঘণ্টা বা তার চেয়ে বেশি সময় ব্যয় করে । ব্যস্ত থাকে মেসেজ পাঠানো ও বিভিন্ন ভিডিও দেখা-শেয়ার করার কাজে। নতুন এক জরিপে উঠে এসেছে এ তথ্য।

এতে দেখা গেছে, ক্লাসে শিক্ষকের লেকচার শোনার সময়ও ফেসবুক-ইউটিউব থেকে বিরত থাকে না তারা। এ কারণে লেকচারে মনোযোগ না দেয়ায় ছাত্রদেরকে ক্লাস থেকে বহিষ্কার পর্যন্ত শুরু করেছেন শিক্ষকেরা।
ইউনাইট স্টুডেন্ট নামের সংস্থার করা জরিপটিতে দেখা গেছে, আন্ডার গ্রাজুয়েট ছাত্র-ছাত্রীদের ৭৫ ভাগ আধা ঘন্টা থেকে দুই ঘণ্টা পর্যন্ত দৈনিক ফেসবুক বা টুইটারে কাটায়। এর মধ্যে প্রতি ১০ জনে একজন আবার তিন ঘণ্টা করে ব্যয় করে।
এরা আবার ইউটিউব দেখে কাটায় আধাঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টা। এর মধ্যে ৭ ভাগ ছাত্র-ছাত্রী ইউটিউবে কাটায় ৩ ঘন্টা। ১০ ভাগের বেশি ছাত্র-ছাত্রী ফ্রি মেসেজ পাঠানোতে ব্যস্ত থাকে তিন ঘণ্টার বেশি সময়।
নটিংহাম ট্রেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞানী ও সামাজিক যোগাযোগ সাইট বিশেষজ্ঞ ড. মার্ক গ্রিফিথস বলেন, তার ক্লাসের সময় অনেক ছাত্র-ছাত্রী সামাজিক যোগাযোগের সাইট নিয়ে ব্যস্ত থাকে।
তিনি বলেছেন, কাউকে ক্লাসে মোবাইলে দেখলে তিনি লেকচার বন্ধ করে দেন। এবং তা থেকে দূরে রাখেন ছাত্রকে। দ্বিতীয়বার এমন করলে তাকে ক্লাস থেকে বের করে দেন।
(ওএস/এএস/জুন ২৪, ২০১৪)