মদন (নেত্রকোনা) সংবাদদাতা : নেত্রকোনার মদন পৌরসদরসহ ৮টি ইউনিয়নে আমন ধানের বীজের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। আমন বীজের শেষ মৌসুমে উপজেলার সর্ববৃহৎ হাট দেওয়ান বাজারে সোমবারে সরেজমিন ঘুরে বিএডিসি আমন বীজ বাজারে না থাকায় শত শত কৃষক বেসরকারি মমতা বীজ দশ কেজির বস্তা ৮শ টাকা করে কিনে নিতে দেখা গেছে। অকাল বন্যা ও পাহাড়ি ঢলে বোর ফসলের ব্যাপক ক্ষতির পর কৃষকগণ আমন চাষে উদ্বুদ্ধ হয়ে পড়ে। এর মধ্যে বীজ ধানের সংকটে তারা দিশেহারা হয়ে পড়ছেন। এলাকায় ত্রাণ ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী এসে বলেছিলেন বিনামূলে সার ও বীজ দেয়া হবে। কিন্তু এখন টাকা দিয়েও সরকারি বীজ পাওয়া যাচ্ছে না।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি অর্থ বছরে মদন উপজেলায় উফশী ৪ হাজার ৮শ, স্থানীয় ৪ হাজার ৪শ হেক্টর জমিতে আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়। এর জন্য ১শ ৪০ মেঃটন বীজ ধানের চাহিদা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হয়। কিন্তু বিএডিসি এ পর্যন্ত ৩৫ জন ডিলারের মধ্যে ১৩ জন ডিলারের মাধ্যমে ২১ মেঃ টন বীজ ২৮মে সরবরাহ করেছে। যা চাহিদার তুলনায় একে বারেই অপ্রতুল। বর্তমানে ডিলারদের নিকট বীজ ধান না থাকায় এ সংকট দেখা দিয়েছে।

দেওয়ান বাজারে বীজ কিনতে আসা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষক নূরুল ইসলাম, রুক্তন মিয়া, আব্দুল জব্বার, শাহজাহান, রুকন উদ্দিন, আব্দুল করিম জানান, আমরা আমন ধানের বীজ কেনার জন্য দেওয়ান বাজারে আইছিলাম। কিন্তু সরকারি বীজ না থাকায় সময় পেরিয়ে যাওয়ার কারণে বাধ্য হয়ে মমতা ১০ কেজি বীজ ধানের প্যাকেট ৮শ টাকা করে ক্রয় করতে বাধ্য হয়েছি।

ডিলার স্বপন পাল জানান, বিএডিসি থেকে বীজ ধান সরবরাহ না করায় বীজ ধানের এই সংকট দেখা দিয়েছে। আমি ২৮মে ১মেঃটন বীজ উত্তোলন করে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করেছি। যেখানে আমার চাহিদা ছিল ২০ মেঃটন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা গোলাম রাসূল জানান, বিএডিসির বীজ ধান সরবরাহ কম থাকায় এলাকায় বীজের এ ধরনের সংকট দেখা দিয়েছে। ১ সপ্তাহ পরে আর কৃষকদের বীজের চাহিদা থাকবে না।

(এএমএ/এসপি/জুলাই ০৪, ২০১৭)