গাজীপুর প্রতিনিধি : ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে এক সপ্তাহ মৃত্যুর সাথে লড়াই করে অবশেষে হেরে গেলেন গার্মেন্ট শ্রমিক জুয়েল মিয়া (৩০) ও তার স্ত্রী মুন্নি বেগম (২৫)। সোমবার মাঝ রাতে মুন্নী এবং মঙ্গলবার সকালে জুয়েলের মৃত্যু হয়। তার আগে গত ১৮ জুন বুধবার ভোরে গাজীপুরের বাসায় মশার কয়েল থেকে সৃষ্ট আগুনে ৬ মাসের শিশু পুত্র ফহিমসহ ঘুমন্ত অবস্থায় দগ্ধ হয়েছিলেন ওই দম্পতি। তিনজনকেই উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ওইদিন দুপুরে মৃত্যু হয়েছিল শিশু ফাহিমের।

নিহত জুয়েলের মামা মতিউর রহমান জানান, সোমবার দিনগত রাত ১২টার দিকে মুন্নী এবং মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জুয়েলের মৃত্যু হয়। সর্বগ্রাসী আগুন পুরো পরিবারটিকেই অকালে গ্রাস করল। মঙ্গলবার দুপুরে হাসপাতাল থেকে লাশ বুঝে নিয়ে গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার রসুলপুর গ্রামে দাফন করা হয়েছে।

হতভাগ্য জুয়েল গাজীপুরের সাইনবোর্ড এলাকার ইষ্টওয়েষ্ট গার্মেন্টে অপারেটর পদে চাকরি করতেন। গাজীপুর মহানগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের ছয়দানা এলাকায় সফিকুল ইসলাম সফির বাড়ির ছোট একটি রুম ভাড়া নিয়ে স্ত্রীসহ বাস করতেন। ফাহিমের জন্মের কারনে মুন্নি গত ৬ মাস ধরে গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। আগুন লাগার মাত্র ১৫দিন আগে ছেলেকে নিয়ে বাড়া বাসায় উঠেন। গত ১৭ জুন রাতে ঘরে মশার কয়েল জ্বালিয়ে তারা ঘুমিয়ে থাকেন। বুধবার ভোরের দিকে কয়েল থেকে আগুন ঘরের মেঝেতে থাকা কাপড়ে লেগে যায়। পরে তা পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। তাদের চিৎকারে বাড়ির অন্য ভাড়াটিয়ারা এসে আগুন নেভায় এবং মারাত্বক দগ্ধ অবস্থায় তিন জনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে পাঠায়।

(এসএএস/জুন ২৪, ২০১৪)