স্বাস্থ্য ডেস্ক : গর্ভাবস্থায় শরীরে যেন পানিস্বল্পতা না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা জরুরি। এ জন্য পর্যাপ্ত পানি তো পান করবেনই, পাশাপাশি পান করতে পারেন ডাবের পানি। বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই পানি গর্ভাবস্থায় বেশ উপকারী।

গর্ভাবস্থায় ডাবের পানি পানের উপকারিতার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপটেন হোম রেমিডি।

কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধে

কোষ্ঠকাঠিন্য গর্ভাবস্থায় একটি প্রচলিত সমস্যা। গর্ভাবস্থায় প্রোজেসটেরন হরমোন বেড়ে যাওয়ার কারণে এবং আয়রন সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার কারণে সাধারণত এ সমস্যা হয়। এ সময় আঁশসমৃদ্ধ ডাবের পানি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতে কাজ করে।

বুক জ্বালাপোড়া কমায়

কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো বুক জ্বালাপোড়া গর্ভাবস্থায় খুব প্রচলিত একটি সমস্যা। ডাবের পানি এ সমস্যা অনেকটা কমাতে সাহায্য করে। ডাবের পানি পান এসিডের মাত্রাকে কমায়। এতে হজমের সমস্যা ও বুক জ্বালাপোড়ার সমস্যা প্রতিরোধ হয়।

কর্মক্ষম রাখে

গর্ভাবস্থায় নিজেকে কর্মক্ষম রাখতে ডাবের পানি উপকারী। এর মধ্যে থাকা ইলেকট্রোলাইট উপাদানের কারণে কর্মক্ষমতা বাড়ে।

পানিশূন্যতা কমায়

গর্ভাবস্থায় পানিশূন্যতার সমস্যা দেখা দেয়। আপনি সহজেই পানিশূন্যতা প্রতিরোধ করতে পারেন ডাবের পানির মাধ্যমে।

পটাশিয়াম

ডাবের পানির মধ্যে পটাশিয়াম রয়েছে। এটি শরীরের ইলেকট্রোলাইটিক ভারসাম্য ঠিকঠাক রাখে। এটি গর্ভাবস্থায় লেগ ক্রাম্প এবং শরীরে পানি আসা প্রতিরোধ করে।

ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম

ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম দুটো উপাদান ডাবের পানি থেকে পাওয়া যায়। এ দুই উপাদান গর্ভাবস্থাকে স্বাস্থ্যকর রাখতে সাহায্য করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে

নিয়মিত ডাবের পানি পান রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। কারণ, এতে পটাশিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। এ ছাড়া ডাবের পানি মূত্রনালির সংক্রমণ প্রতিরোধ করে।

ডাবের পানি পানে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

১। খুব বেশি ডাবের পানি পান করবেন না। দিনে দুই গ্লাসই যথেষ্ট।
২। আপনার ট্রি নাট অ্যালার্জি থাকলে ডাবের পানির পানের ক্ষেত্রেও অ্যালার্জি হতে পারে। তাই এড়িয়ে যাওয়াটাই ভালো হবে।
৩। আপনার গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিস থাকলে অথবা আগে থেকেই ডায়াবেটিস হলে ডাবের পানি কম পান করুন।

(ওএস/এসপি/জুলাই ০৬, ২০১৭)