কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারের রামু ও উখিয়ায় বানের পানিতে ডুবে সহোদরসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় সহোদর ও দিনের বিভিন্ন সময়ে অন্যরা মারা যান।

রামুতে নিহতরা হলো- উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের চালইন্যা পাড়ার কামাল হোসেনের ছেলে মো. শাহিন (১০) ও মো. ফাহিম (৮)।

রামুর ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম জানান, পাহাড়ি ঢলে বানের পানিতে রামুর এলাকা ডুবে গেছে। প্লাবনের শিকার হচ্ছে রামু উপজেলার উত্তর ফতেখাঁরকুল চালইন্নাপাড়া এলাকাও।

বাড়িতে পানি ঢুকায় বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে নানা বাড়ি নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে প্রবল স্রোতে রাতে তারা ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে স্থানীয়রা বিকেলে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। আসরের নামাজের পর পারিবারিকভাবে তাদের দাফন করা হয়েছে।

রামু থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম লিয়াকত আলী তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে রামু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উল আলম ও রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাজান আলি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে শোকাহত পরিবারের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

অপরদিকে, বন্যার স্রোতে ভেসে গিয়ে ও পাহাড়ের মাটি চাপায় উখিয়ায় নারীসহ চারজনের প্রাণহানি ঘটেছে। নিহতরা হলো উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনাইছড়ি গ্রামের জাফর আলমের মেয়ে সামিরা আকতার (১৪), পালংখালী ইউনিয়নের আঞ্জুমানপাড়ার সরওয়ার আলমের শিশু পুত্র রাব্বী (৭), রত্নাপালং সাদৃকাটা গ্রামের মৃত আবুল হোছনের ছেলে কামাল উদ্দিন (৬০), রত্নাপালং ইউনিয়নের মধ্যমরত্না গ্রামের মৃত অমূল্য বড়ুয়ার ছেলে ইতুন বড়ুয়া (১৫)।

এদের মাঝে রাব্বী বুধবার রাতে বাড়িতে পাহাড়ের মাটি চাপায় মারা যান। বাকিরা বানের পানিতে ভেসে গিয়ে প্রাণ হারান বলে জানান উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন।

(ওএস/এএস/জুলাই ০৬, ২০১৭)