রাঙামাটি প্রতিনিধি : মঙ্গলবার রাঙামাটি সরকারি কলেজে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হলেও বিভিন্ন খাতে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগে সকল ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে তিনটি ছাত্র সংগঠনের নেতারা।

সকালে রাঙামাটি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ, ছাত্রদল এবং পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ নেতারা ভর্তি কার্যক্রম শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই ভর্তিকক্ষে তালা মেরে দিয়ে ভর্তি ফরম বিতরণ বন্ধ করে দেয়।

এ সময় তারা কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে, নৈশ প্রহরী, উন্নয়ন তহবিল ও অভ্যন্তরীন পরীক্ষা ফি বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ এনে শিগগিরই কলেজের নিজস্ব পরিবহণ চালু, লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত বই সরবরাহসহ কলেজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবি করেন।

পরে কলেজ কর্তৃপক্ষ ভর্তি কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করে ছাত্রনেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল জব্বার সুজন, ছাত্রদলের সভাপতি ইমরান চৌধুরী সুজন, সাধারণ সম্পাদক অলি আহাদ, পিসিপির সাধারণ সম্পাদক রিন্টু চাকমাসহ সংগঠনগুলোর সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্রনেতারা অভিযোগ করেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ ভর্তির নামে শিক্ষাবাণিজ্য করছে। তাই আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করেই আন্দোলন করছি।

তবে ছাত্রনেতাদের অভিযোগ অস্বীকার করে রাঙামাটি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ বাঞ্চিতা চাকমা বলেন, “নৈশ প্রহরি ও মাস্টাররোল কর্মচারীদের সম্মানী দিতেই ২০০ টাকার স্থলে ৩০০ টাকা নেয়া হচ্ছে এবং সকল ফি নেয়া হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের নির্দেশনা মেনেই।”

তিনি বলেন, “ছাত্রনেতারা কেনো এটা নিয়ে ঝামেলা করছে তা আমার বোধগম্য নয়। ভর্তি কার্যক্রম বুধবার থেকে যথারীতি চলবে, যারা মঙ্গলবার ফরম নিতে পারেনি তারা বুধবার নিতে পারবে।”

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জব্বার সুজন, ছাত্রদল সম্পাদক অলি আহাদ এবং পিসিপি সম্পাদক রিন্টু চাকমা জানিয়েছেন, ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক নঈমউদ্দিনকে অপসারণ এবং যেসবখাতে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হচ্ছে তা স্থগিত করা হলে আমরা আন্দোলন থেকে সরে দাঁড়াব।

(ওএস/এস/জুন ২৪, ২০১৪)