পাংশা (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি : রাজবাড়ী জেলার পাংশায় গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মিরাজ জোয়ার্দ্দার (৩৭) নামের এক কাঠ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। সে কলিমহর ইউপির সাঁজুরিয়া কামারপাড়া গ্রামের ইউনুস আলী জোয়ার্দ্দারের ছেলে।

আজ শুক্রবার সকালে কলিমহর ইউপির সাঁজুরিয়া শাহ আব্দুল্লাহ রুমী (র.) ঈদগাহ ময়দান ও গোরস্থানের পাশে রাস্তার ওপর থেকে নিহত মিরাজ জোয়ার্দ্দারের লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।

জানা যায়, শুক্রবার সকালে স্থানীয় লোকজন সাঁজুরিয়া ঈদগাহ ময়দান ও গোরস্থানের পাশের রাস্তা দিয়ে মাঠে কাজ করতে যাওয়ার সময় লাশ দেখতে পায়। খবর পেয়ে পাংশা থানা পুলিশ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সাঁজুরিয়া শাহ আব্দুল্লাহ রুমী (র.) ঈদগাহ ময়দান ও গোরস্থানের পাশে রাস্তার ওপর থেকে নিহত মিরাজ জোয়ার্দ্দারের লাশ উদ্ধার করে পোষ্ট মর্টেমের জন্য রাজবাড়ী মর্গে পাঠায়।

জানা যায়, নিহত মিরাজ জোয়ার্দ্দারের পিতা ইউনুস আলী জোয়ার্দ্দার কয়েক বছর ধরে স্বস্ত্রীক কুষ্টিয়া শহরে বসবাস করছেন। তিনিও একজন কাঠ ব্যবসায়ী। সাঁজুরিয়া গ্রামের বাড়িতে মিরাজ জোয়ার্দ্দার তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও দাদিকে নিয়ে বসবাস করতেন। নিহত মিরাজ জোয়ার্দ্দারের ফুপু, কমেলা খাতুন জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে মিরাজ জোয়ার্দ্দার বাড়ির বাইরে যায়। রাতে সে আর বাড়িতে ফিরে আসে নাই। মিরাজ জোয়ার্দ্দার দু’টি বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রীর নাম ফিরোজা এবং দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম আসমা। উভয়ের বাড়ি গোয়ালন্দ এলাকায়। তার প্রথম স্ত্রী গোয়ালন্দে থাকেন। দ্বিতীয় স্ত্রী আসমা খাতুনকেও ঘটনার আগের দিন শ্বশুর বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় লোকজন জানায়, মিরাজ জোয়ার্দ্দার একজন কাঠ ব্যাবসায়ী। কাঠ ব্যবসার অন্তরালে অপরাধ জগতের লোকজনের সাথে তার যোগাযোগ ছিল। অভ্যন্তরীন বিরোধের জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে স্থানীয়দের ধারনা।

এ ব্যাপারে পাংশা থানার অফিসার ইনচার্জ মোফাজ্জেল হোসেন জানান, তদন্ত ছাড়া ঘটনার মোটিভ বলা সম্ভব হচ্ছে না।

(এমএইচ/এসপি/জুলাই ০৭, ২০১৭)